দাবি-দাওয়া নিয়ে ক্রিকেট বোর্ড ও ক্রিকেটাররা মুখোমুখি হয়েছে। এমনকি দাবি না মানলে মাঠে নামা থেকে বিরত থাকার আল্টিমেটামও কার্যকর করেছেন সাকিব-তামিমরা। কেন তাদের এই ক্ষোভ? বৈষম্য আসলে কতটা? ক্রিকটাইমের এক প্রতিবেদনে সেটা দারুণভাবে ফুটে উঠেছে। বোর্ড পরিচালক ও ক্রিকেটারদের বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে প্রতিদিন যে ভাতা দেয়, সেখানে রয়েছে সুস্পষ্ট পার্থক্য।

বিদেশ সফরে থাকাকালীন প্রত্যেক ক্রিকেটারকে প্রতিদিন ৫০ ডলার করে ‘দৈনিক ভাতা’ দেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪ হাজার ২শ টাকার মতো। অন্যদিকে একই সফরে থাকা বিসিবির কোনো পরিচালক ‘দৈনিক ভাতা’ হিসেবে প্রতিদিন একেকজন পেয়ে থাকেন ৫০০ ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যা ৪২ হাজার টাকারও বেশি। ক্রিকেটারদের তুলনায় তা প্রায় দশগুণ বেশি।

ক্রিকেটার ও বোর্ড কর্তাদের ভাতায় এমন বৈষম্য সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরে আজ বুধবার ক্রিকেটারদের আইনজীবী ব্যারিস্টার মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশ দল যখন বিদেশ সফরে গেলে ক্রিকেটাররা প্রতিদিন পায় ৫০ ডলার। আর বোর্ডের পরিচালকরা ৫০০ ডলার করে পান।’

এছাড়া ভাতার ক্ষেত্রে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটারদের দুর্দশাও ফুটে ওঠে তার কণ্ঠে। তিনি বলেন, ‘জুন-জুলাই মাসে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেন যারা, তারা দিনে পান ১৫০০ টাকা। এটা তো ন্যায্য হল না। আমরা চাই দুই পক্ষেই ন্যায্য ভাতা। তাদের এক ভেন্যু থেকে অন্য ভেন্যুতে যেতে হয়। আজ একটা খেলা রংপুরে, কাল চট্টগ্রামে। তাদেরকে ঐ ২৫০০ টাকা থেকেই যাতায়াত খরচ সামলাতে হয়। ২৫০০ টাকায় বিমান টিকেট হয় না। তাই তাদের বাসে যেতে হয়। সবসময় ভালো বাসও পাওয়া যায় না।’

উল্লেখ্য গত সোমবার ১১ দফা দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন ক্রিকেটাররা। তারপর মঙ্গলবার জরুরি বৈঠক করে সংবাদ সম্মেলন ডাকেন বিসিবি বস নাজমুল হাসান পাপন। তবে সেখানে তিনি আশা দেখাতে পারেননি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা শেষে দাবি-দাওয়া মেনে নেয়ার ঘোষণা দিলেও ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারেননি। শেষ খবর (রাত ১০টা) বিসিবিতে ক্রিকেটারদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে বিসিবি।