নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ১৭ বছর পর আওয়ামীলীগ এর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন সকালে চৌরাস্তা টেকনিক্যাল স্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ১০ টায় বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা টেকনিক্যাল স্কুল মাঠে উপজেলা আওয়ামীলীগ এর সভাপতি ডা. এ বি এম জাফর উল্ল্যার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ।

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি।

প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, বিশ্ব শান্তির অগ্রদূত জননেত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীদেরকে গ্রেনেড মেরে যারা হতাহত করেছে খুনি খালেদা ও তারেক চক্রকে বাংলার মানুষ কখনো ক্ষমতায় আসতে দিবে না। এই চক্র কোন ভাবে ক্ষমতায় আসলে আবার বাংলার মাটি রক্তরঞ্জিত করে ফেলবে। তাই বিএনপি জামাত জোট যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে তাদেরকে প্রতিরোধ করতে সকলকে প্রস্তুত থাকার আহ্বান জানান। তিনি রোববার সকাল ১০টায় নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ সরকারি কারিগরী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসাবে উক্ত কথাগুলো বলেন।

সম্মেলনে উদ্বোধন করেন- নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আ.ন.ম খায়রুল আলম সেলিম। এতে সভাপতিত্ব করেন- বেগমগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ এবিএম জাফর উল্যাহ। এতে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশ করেন নোয়াখালী-৩ (বেগমগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মামুনুর রশীদ কিরণ।

এতে আরো বক্তব্য রাখেন- নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরী এম.পি, মোরশেদ আলম এম.পি, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি, শিল্পপতি লায়ন, আতাউর রহমান মানিক, শিল্পপতি এটিএম এনায়েত উল্যাহ, বেগমগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বাদশা, সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম লিপ্টন, চৌমুহনী পৌরসভা মেয়র আক্তার হোসেন ফয়সল, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের নির্বাহী সদস্য এস.এম কামাল হোসেন, আওয়ামীলীগ নেত্রী লুৎফুর নাহার মুন্নি, সাবেক ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর হায়দার চৌধুরী লোটন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন- মাহবুবুর রহমান।

উপমন্ত্রী আরো বলেন, বাংলার মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তনের জন্য প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা দিন-রাত পরিশ্রম করে যাচ্ছে। তিনি বেঁচে থাকলে দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা চলমান থাকবে। ডিজিটাল বাংলাদেশের উপকারিতা শহর এমনকি গ্রামাঞ্চলের মানুষ যেভাবে ভোগ করছে এবং প্রযুক্তির প্রসার বিকাশে নতুন প্রজন্মও এগিয়ে যাওয়ার ফলে বাংলাদেশ ভবিষ্যতে উন্নত রাষ্ট্র পরিনত হবে। তাই সকলে প্রধান মন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করতে সকল নেতাকর্মীকে উপদেশ দেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কমিটি ঘোষনা করা যায়নি।