রিয়াল মাদ্রিদকে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা জিতিয়েছেন জিনেদিন জিদান। এছাড়া কোচ হিসেবে অভিষিক্ত হওয়ার তিন বছরেরও কম সময়ে রিয়াল মাদ্রিদকে জিতিয়েছেন আটটি শিরোপা। অথচ হঠাৎ কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন রিয়াল কোচ। আর তার পদত্যাগ নেওয়ার সিদ্ধান্তের কথা খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনি প্রথম জানিয়েছেন রিয়াল অধিনায়ক সের্গিও রামোসকে।

রামোস কোচকে রিয়ালে থেকে যাওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া ক্লাবটি তার যোগ্য উত্তরাধিকার খুঁজে পাবে না বলে উল্লেখ করেন রামোস। রিয়ালের ইতিহাসে জিদান সেরা কোচদের একজন হয়ে থাকবেন বলে মনে করেন এই ডিফেন্ডার। পদত্যাগের বিষয়ে জিদান বলেন, ‘আমি এবং সকলের জন্য পরিবর্তন আনার জন্য এটাই সবচেয়ে ভালো সময়। এটা সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না। মাদ্রিদ আমার ক্যারিয়ারে সবকিছু দিয়েছে।’

জিদান পদত্যাগের সময় জানিয়েছেন, তিনি দায়িত্বে থাকলে রিয়াল এই শিরোপা জয়ের ধারায় নাও থাকতে পারে। কিয়েভে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদ যদি লিভারপুলের কাছে হেরে যেত তবুও কি পদত্যাগ করতেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি ঠিক জানি না। তবে সম্ভবত করতাম।’

বার্নাব্যুতে জিদানের সেরা মুহূর্ত কী? স্মৃতি চারণ করতে হলো জিদানের। ফ্রান্স তারকা বলেন, ‘এখানে খেলার জন্য রিয়ালের সভাপতি আমাকে সেরা এই ক্লাবে এনেছিল। ওটাই সেরা মুহূর্ত। আর কোচ হিসেবে যদি বলেন তবে লা লিগা শিরোপা জেতা।’ তার কাছে ওই ট্রফিটাই সবার উপরে বলে জানান জিদান।

জিদান পদত্যাগ করার কারণ হিসেবে বলেন, ‘দলের নতুন কারো অধীনে খেলা দরকার। আর সেজন্য এটাই আমার সরে দাঁড়ানোর ভালো সময়।’ রিয়াল মাদ্রিদের কিছু ‘ফ্রেশ আইডিয়া’ দরকার বলেও উল্লেখ করে জিদান। তবে তিনি নতুন কোন ক্লাবের দায়িত্ব নিচ্ছেন না বলেও জানান। তিনি বলেন, ‘আমি অন্য কোন ক্লাবের কোচের দায়িত্ব নিচ্ছি না। অন্য কোন ক্লাব খুঁজছিও না।’

রিয়ালে মাদ্রিদের খেলোয়াড়রা বিষয়টি জানতো কি তা নিয়ে জিদান বলেন, ‘খেলোয়াড়রা বিষয়টি জানে। আমি তাদের সবার সঙ্গে আলাদা আলাদা কথা বলি নি। কিন্তু তারা এটি জানে। তবে রামোসকে আমি জানিয়েছি।’ খেলোয়াড়দের উদ্দেশ্যে জিদানের বার্তা দলের কিছু পরিবর্তন দরকার।

তিনি বলেন, ‘আমি তাদের ধন্যবাদ জানায়। কারণ দিনশেষে কাজটা দলগত। এটা এমন একটি ক্লাব যাদের প্রত্যাশা অনেক ওপরে। আমরা (ক্লাব) খেলোয়াড়দের থেকে আরো-আরো চাই। কিন্তু আমি তাদের কাছ থেকে এর চেয়ে বেশি চাইতে পারিনা। তাদের জন্য এখন নতুন কোন কণ্ঠ শোনার সময়।’