প্রেমের টানে স্বামী-সন্তান ছেড়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন সবিতা রানী দাস । কয়েক বছর সংসারও করেছেন ভালোভাবে। কিন্তু বিধিবাম, প্রতারক স্বামী ফের বিয়ে করেছেন।
সবিতার রানীর বাড়ি পাবনার আঠঘড়িয়া উপজেলার নাদুরিয়া গ্রামে। সবিতা রানীর বাবা শ্রী রাম দাস। বিয়ে হওয়ার পর সবিতার গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকায় স্বামী-সন্তান নিয়ে বসবাস করতেন। স্থানীয় পোশাক কারখায় কাজ করতেন কাজ করতেন।একই পোশাক কারখানায় কাজ করার সুবাদে সবিতার সঙ্গে পরিচয় হয় শহীদুলের। শহীদুল ইসলামের বাড়ি ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের উচালিখা ইউনিয়নের আমোদপুর গ্রামে। শহীদুল ওই গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে।

সবিতা রানীর সাথে পরিচয়ের এক পর্যায়ে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড় তোলেন শহীদুল ইসিলাম । পরে ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে ময়মনসিংহ আদালতে এফিডেবিট করে ধর্মান্তরিত হয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন সবিতা রানী । নিজের নাম পরিবর্তন করে রাখেন সবিতা বেগম। পরে ওই বছরের জুনে ময়মনসিংহ আদালতে এফিডেবিট করে সাড়ে ১২ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেন শহীদুল ও সবিতা। এরপর তারা গাজীপুরের একটি এলাকায় বসবাস শুরু করেন। কিন্তু সবিতাকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাননি শহীদুল।
কয়েক বছর শহীদুল সবিতার সংসার জীবন ভালো কাটলেও কয়েক মাস আগে শহীদুল পূর্বের বিয়ের বিষয়টি গোপন রেখে ফের বিয়ে করেন। নতুন বিয়ে করার পর শহীদুল সবিতার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ায় গত মার্চ মাসে স্বামীর বাড়িতে আসেন তিনি। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে শহীদুল বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান। পরে সবিতাকেও শহীদুলের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়। বলা হয় বিয়ের প্রমাণপত্র নিয়ে আসার জন্য। কিন্তু যথাযথ প্রমাণপত্র নিয়ে আসার পরেও ঠাঁই মেলেনি সবিতার। উল্টো মারধর করে তাকে বাড়ি থেকে আবারও বের করে দেওয়া হয়েছে। ওই অবস্থায় শহীদুলের বাড়ির পাশের একটি বাড়িতে গত দুই মাস ধরে আশ্রয় নিয়েছেন সবিতা ।
নিজের অধিকার ফিরে পেতে গত ১৩ মে ময়মনসিংহ আদালতে মামলা করেছেন সবিতা বেগম। এ ব্যাপারে সবিতা বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ধর্মান্তরিত হয়ে পরিবার-স্বজন সব হারিয়েছি। বিয়ে করলেও প্রতারক স্বামীর কাছে ঠাঁই হচ্ছে না।সবিতার প্রশ্ন,এখন আমি যাব কোথায় ?