প্রধানমন্ত্রীর আশ্রায়ন-২ প্রকল্পের নিজ জমিতে গৃহনির্মাণ “খ” শ্রেণীর ঘর নির্মাণে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারী কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে নোয়াখালী দুর্নীতি দমন কমিশন জেলা সমন্বিত কার্যালয় উপ-পরিচালকের তদন্ত চলছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক মোঃ শরিফুল ইসলাম জানায়, বাদীর অভিযোগ গ্রহণ করা হয়েছে। দুদক ও এলাকাবাসী জানায়, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩নং জিরতলী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলন প্রকল্পের ১শ ৯০ জনের তালিকায় ৭৭ জনের ঘর নির্মাণ না করে ভূয়া মাষ্টার রোল সাবমিট করে স্থানীয় পিআইওর যোগসাজসে ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবর গ্রামবাসী জানায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রায়ন প্রকল্প থেকে সারাদেশের দরিদ্র মানুষের আশ্রায়ন ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে “যার জমি আছে ঘর নেই তার নিজ জমিতে গৃহ নির্মাণ” কর্মসূচী গ্রহণের মাধ্যমে আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে মাথা গোঁজার জন্য বসত ঘর তৈরীর লক্ষ্যে ঘর প্রতি ১ লাখ টাকা এ প্রকল্পের জন্য নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার ৩নং জিরতলী ১৯০ টি ঘরের বরাদ্দ হয়। উক্ত চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতা বলে ১শ ৯০টি ঘরের বরাদ্দ হয়।

উক্ত চেয়ারম্যান নিজ ক্ষমতাবলে ১শ ৯০টি ঘরের তালিকায় থাকা ৭৭ জনকে কোন ঘর না দিয়ে সরকারী ৭৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেন। ৮নং ওয়ার্ডের স্থায়ী বাসিন্দা অভিযোগে দুদককে জানায়, স্থানীয় চেয়ারম্যান অস্তিত্বহীন নিজ ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে.কে. ট্রেডার্সের নামে বিল ভাউচার দেখিয়ে সরকারী অর্থ লোপাট করেন।

দুদক অফিস সূত্র জানায়, এ ইউনিয়নে মহব্বতপুর, মুজাহিদপুর, মদিনাবাগ ও মাঠের পূর্ব পাশ বলতে কোন গ্রাম না থাকলেও মাষ্টার রুলে অন্তর্ভূক্ত দেখিয়ে তালিকার ৮২, ১৩৮, ১৮০, ১৮৫ ক্রমিকে ভূয়া গ্রাম ও নাম, ঠিকানা ব্যবহার করে জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি টাকার সরকারী অর্থ আত্মসাত করেন অভিযুক্ত চেয়ারম্যান। বেগমগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার অফিসে জমা দেয়া মাস্টার রুল তালিকায় একই ব্যক্তির নাম- ঠিকানা একাধিকবার ব্যবহার করে নিজেই এ টাকা আত্মসাৎ করে।

ভূক্তভোগীরা জানায়, অনেক দু:স্থ্য লোকদের কাছ থেকে ঘর প্রতি ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে দুর্নীতি বন্ধে প্রকল্পের আত্মসাতকৃত অর্থ আদায় করতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ ব্যাপারে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মিলনের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ না করে কেটে দেন। এ নিয়ে স্থানীয় জনমনে ক্ষোভ ও অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে। খবর প্রতিদিন