ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছেন ‘বৃক্ষ-মানব’ বলে পরিচিত আবুল বাজানদার।

হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বিবিসিকে জানান, তাদের রোগী কোন কাউকে কিছু না জানিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন, তার কোন কারণ সম্পর্কে তিনি নিশ্চিত হতে পারছেন না। এদিকে আবুল বাজান্দার জানিয়েছেন ,“আড়াই বছর বার্ন ইউনিটে ভর্তি থেকে চিকিৎসা নিয়েছি। ২৫টি অস্ত্রোপচার হয়েছে আমার হাত-পায়ে। আবার শিকড় গজাচ্ছে। আমার এখনও মনোবল আছে, আমি সুচিকিৎসা চাই।”
হাসপাতাল ছেড়ে চলে যাওয়া প্রসঙ্গে আবুল বাজনদার বলেন, চিকিৎসকদের কাছে কিছুদিন আগে আমি ছুটি চাই, তখন চিকিৎসকরা জানান তোমার ছুটি নিতে হলে কাগজে সই দিতে হবে। কাগজে অনেক কিছু লেখা ছিল তাই আমি সই দেই নাই।

বাজনদার আরও বলেন, আড়াই বছর ধরে আমার চিকিৎসা চলছিল বার্ন ইউনিটে। আগে চিকিৎসকরা কখনও বলেননি তোমার রোগটি জেনেটিক সমস্যা। এখন তারা বলছেন রোগটি সারবার নয়, জেনেটিক সমস্যা। যতবার হবে ততবার অস্ত্রোপচার করা লাগবে। সারাজীবন ধরে চলবে এই রকম চিকিৎসা।

দুঃখ প্রকাশ করে বাজনদার বলেন, আমার মনোবল এখনও আছে, আমি সুচিকিৎসা চাই।
দুই বছর চিকিৎসা নেয়ার পর মি. বাজানদার কেন হাসপাতালে থাকতে চাইছেন না, সে সম্পর্কে ড. সেন বলেন যে তার সাথে কে বা কারা নাকি দুর্ব্যবহার করেছে এবং খাওয়া দিচ্ছে না। সেই জন্য তিনি হাসপাতাল থেকে চলে গেছেন।

এ ব্যাপারে মি. বাজানদারের বক্তব্য তাৎক্ষণিকভাবে জানা সম্ভব হয়নি।

“কিন্তু কে তার সাথে খারাপ ব্যবহার করেছে, বা কে তাকে খাওয়া দিচ্ছে না, এই ব্যাপারটা সে আমাকে জানাতে পারতো,” ডা. সামন্ত লাল সেন বলছিলেন, “আমি দেখতাম কোন ডাক্তার বা নার্স এর জন্য দায়ী। কিন্তু সে কাউকে কিছু না জানিয়ে যে এভাবে চলে যাবে, তা মোটেই আশা করিনি।”