জেলা সংবাদ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 355 বার
নোয়াখালীর সোনাইমুড়িতে জেলা আওয়ামী লীগের দুই সহ-সভাপতির পক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সোনাইমুড়ি থানার ওসিসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
বুধবার রাত সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত এই সংঘর্ষ চলে। এ সময় উভয় পক্ষের লোকজন দোকানপাঠ ও গাড়ি ভাঙচুর করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে।
সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন পর্যন্ত নোয়াখালী-১ (সোনাইমুড়ি-চাটখিল) আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এইচএম ইব্রাহিম এবং জেলা আওয়ামী লীগের সদ্য নির্বাচিত সহ-সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারি মো. জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকদের মধ্যে আধিপত্য নিয়ে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। গত মঙ্গলবারও সোনাইমুড়ি বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরে এ ঘটনায় মামলা হলে বুধবার সন্ধ্যায় সোনাইমুড়ি থানার ওসির নেতৃত্বে দুই পক্ষকে ডেকে এনে তা মীমাংসার চেষ্টা চলে। এক পর্যায়ে ওসির উপস্থিতিতে সোনাইমুড়ি বাইপাস এলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির মধ্যে হঠাৎ কেউ একজন গুলি করে। ওই গুলি গিয়ে দিদার নামে এক পথচারির পায়ে লাগে। এরপরই শুরু হয়ে যায় উভয় পক্ষের সংঘর্ষ। সংঘর্ষ রণক্ষেত্রে রূপ নেই। ভাঙচুর করা হয় দোকানপাঠ ও যানবাহন। এ সময় সোনাইমুড়ি থানার ওসি আবদুস সামাদ, কন্সটেবল জসিম উদ্দিনসহ চার পুলিশ সদস্য ও জেলা যুবলীগ সদস্য আবু সায়েদসহ অন্তত ১০ জন আহত হন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড ফাকা গুলি করে।
পুলিশ জানিয়েছে, থানার ওসিসহ পুলিশের চার সদস্য ছাড়াও দুই পক্ষের অনেকে আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ফাঁকা গুলি ছুঁড়েছে। পরে জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ আসার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
Leave a Reply