আগাম নির্বাচন ইস্যুতে দ্বিতীয় দফায় আজ আবার ভোট দেবেন বৃটিশ পার্লামেন্টের এমপিরা। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন নেতৃত্বাধীন সরকার চাইছে পার্লামেন্ট এই বিলটিকে অনুমোদন দিয়ে আগাম নির্বাচনের পথ করে দিক। পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে বিলটি পাস করার ক্ষেত্রে একে বিরোধী লেবার দলের জন্য শেষ সুযোগ হিসেবে দেখা হচ্ছে। কিন্তু সরকারের আনা এ বিলটি পাস হবে না বলেই মনে হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন বিবিসি।

প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিট থেকে আজ সোমবার এই ভোট আহ্বান করা হয়েছে। এতে সরকার পরাজিত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ, বিরোধী দলগুলো সর্বপ্রথম চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট এড়ানোর পক্ষে। এর আগে এ বিষয়ে তারা পার্লামেন্টে বিল পাস করেছে। ওদিকে ডাবলিনে আইরিশ প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সঙ্গে সাক্ষাত হওয়ার কথা রয়েছে বরিস জনসনের। বিবিসি বলছে, বৃটিশ পার্লামেন্টে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ দলের বিদ্রোহী ও বিরোধী দলের এমপিরা ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা বর্ধিত করার আহ্বান সম্বলিত একটি বিল পাস করেছে। এই বিলটি রাজকীয় অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। যদি তা আজ অনুমোদন পায় তাহলে বিলটি আইনে পরিণত হবে।

এতে বলা হয়েছে, ১৯ শে অক্টোবরের আগেই যদি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কোনো চুক্তিতে পৌঁছা না যায়, তাহলে ব্রেক্সিট সম্পাদনের সময়সীমা ৩১ শে অক্টোবরের পরিবর্তে ৩১ শে জানুয়ারি পর্যন্ত বর্ধিত করতে হবে। এতে ব্রাসেলসের সঙ্গে দরকষাকষিতে সরকারকে দুর্বল করে দেয়া হয়েছে বলে সমালোচনা করেছেন বৃটিশ মন্ত্রীরা। পার্লামেন্টে এমন বিদ্রোহের মুখে পড়ে প্রথম দফায় আগাম নির্বাচন আহ্বান করেন বরিস জনসন। কিন্তু এতেও পরাজিত হন তিনি।

এ সপ্তাহে বৃটেনের পার্লামেন্ট স্থগিত হয়ে যাওয়ার আগে ডাউনিং স্ট্রিট আগাম নির্বাচনের বিল আনছে আজ পার্লামেন্টে। ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়েছে, একটি আগাম নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য এটা হবে বিরোধী লেবার দলের জন্য শেষ সুযোগ। এ বিল পাস করাতে হলে সরকারকে দুই-তৃতীয়াংশ এমপির সমর্থন প্রয়োজন হবে। গত সপ্তাহে প্রথম দফায় আনা একই রকম বিল এই পরিমাণ সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়।

বৃটিশ পার্লামেন্টে এ সপ্তাহে যা ঘটতে পারে তা একনজরে এরকম-
সোমবার: এদিন পার্লামেন্টে আগাম নির্বাচন প্রশ্নে আবার ভোট দেবেন এমপিরা। তবে এতে সরকার পরাজিত হওয়ার বড় ঝুঁকি আছে। ৩১ শে অক্টোবর চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিট থামাতে আন্তঃদলীয় এমপিরা যে বিল এনেছেন তা রাজকীয় অনুমোদন পেতে পারে আজ। সোমবার থেকে ১৪ই অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত হতে পারে পার্লামেন্ট। তবে পার্লামেন্ট স্থগিত বৃহস্পতিবারও হতে পারে। আইরিন প্রধানমন্ত্রী লিও ভারাদকারের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন প্রধানমন্ত্রী জনসন। পার্লামেন্ট স্থগিতকরণ বন্ধের বিরুদ্ধে করা একটি পিটিশনের ওপর আজ বিতর্ক করবেন এমপিরা। এই পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন ১৭ লাখ মানুষ।

বুধবার: হাউজ অব কমন্সের লিয়াজোঁ কমিটির সামনে হাজির হওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী জনসনের। এই কমিটি হলো সব নির্বাচিত কমিটির চেয়ারম্যানদের নিয়ে গঠিত। সেখানে ব্রেক্সিট, সামাজিক পলিসি ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক ইস্যুতে প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন তিনি। ওদিকে এমপি ও পিয়ারসদের একটি গ্রুপের করা এক আপিলের জবাবে পার্লামেন্ট স্থগিত করা অবৈধ কিনা সে বিষয়ে রায় দেয়ার কথা স্কটল্যান্ডের সর্বোচ্চ আদালতের।