বিদেশ | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৮, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 900 বার
দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ‘বন্দি বিনিময়’ সম্পন্ন হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে। পরস্পরের হাতে আটক থাকা প্রায় ৭০ জন জন বন্দি শনিবার রাশিয়ার মস্কোতে এবং ইউক্রেনের কিয়েভ বিমান বন্দরে অবতরণ করেছেন। রাশিয়া থেকে মুক্ত হওয়াদের মধ্যে কিছু ইউক্রেনীয় সৈন্য ও চলচ্চিত্রকার রয়েছেন।
অন্যদিকে, ইউক্রেন যাদের মুক্তি দিয়েছে তাদের মধ্যে যেমন আছেন সাংবাদিক। তেমনি একজন ইউক্রেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীও আছেন। যার নাম ভ্লাদিমির জেমাখ। যাকে ২০১৪ সালে একটি মালয়েশীয় যাত্রীবাহী বিমান ভূপাতিত করার জন্য দায়ী করা হয়।
এ বিষয়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির ইয়েলেনস্কি বলেছেন, মুক্তির আগে মি. জেমাখকে নিবিড়ভাবে জেরা করা হয়েছে। কিন্তু নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টেফ ব্লক এতে দু:খ প্রকাশ করেছেন। কেননা, মালয়েশীয় এয়ারলাইন্সের বিমানটি নেদারল্যান্ডস থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। ওই ঘটনায় বিমানটির ২৯৮ জন আরোহীর সবাই নিহত হন।
ভ্লাদিমির জেমাখ পূর্ব ইউক্রেনে রুশ-সমর্থিত বিদ্রোহীদের একজন কমান্ডার এবং ২০১৪ সালের ঘটনার ব্যাপারে তার সঙ্গে নেদারল্যান্ডসের তদন্তকারীরা কথা বলতে চান।
এদিকে, বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যকার সম্পর্কের এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হচ্ছে এই বন্দি বিনিময়। কারণ ২০১৪ সাল থেকে সামরিক সংঘাত চলছে এ দুই দেশের মধ্যে।
বিশেষ করে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে নেয় এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া সমর্থিত বিদ্রোহী তৎপরতা শুরু হয়। তার পর থেকেই দু’দেশের সম্পর্কে গুরুতর অবনতি ঘটে। যাতে ইউক্রেনের ডোনিয়েৎস্ক এবং লুহানস্ক অঞ্চলে অন্তত ১৩,০০০ লোক মারা যায়।
প্রেসিডেন্ট ইয়েলেনস্কি মনে করেন, এই বন্দি বিনিময় হতে পারে পূর্ব ইউক্রেনে যুদ্ধ অবসানের পথে প্রথম পদক্ষেপ।
গত এপ্রিলে নির্বাচিত হয়েই রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে ঘোষণা করেছিলেন ইয়েলেনস্কি। সূত্র- বিবিসি।
Leave a Reply