কৃষি কথা | তারিখঃ সেপ্টেম্বর ৭, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 484 বার
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় গ্রাফটিং প্রযুক্তিতে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ করে সাবলম্বী হয়েছেন কৃষক আব্দুল মুকিত। অসময়ে টমেটো চাষ করে দামও পাচ্ছেন ভালো। বাড়ছে চাষের পরিধি। অন্য কৃষকরাও আগ্রহ দেখাচ্ছেন টমেটো চাষে।
সূত্র জানায়, নবীগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ নিয়ে গত তিন বছর ধরে টমেটো চাষ করছেন আব্দুল মুকিত। গত বছর বাড়ির সামনে ৩৫ শতক জমিতে টমেটো চাষ করেন এবং ফলন হয় বেশ ভালো। খরচ হয় প্রায় ২ লাখ ৪৫ হাজার টাকা। আর টমেটো উত্তোলন করে বিক্রি করেছেন ৭ লাখ টাকায়। বছরে সাড়ে ৪ লাখ টাকা পেয়ে বেড়েছে তার উৎসাহ। এবার তিনি ৬০ শতক জায়গায় প্রায় ৪ হাজার টমেটোর চারা রোপণ করেন। ৬৫ দিনের পরিচর্যায় টমেটোর গাছে ফুল আসে এবং টমেটো ধরা শুরু হয়। তা থেকে তিনি ফের টমেটো বিক্রি শুরু করেছেন।
আব্দুল মুকিত বলেন, অন্য ফসলের কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেয়ে জীবিকা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছিলাম। তিন বছর আগে কৃষি অফিসের দারস্থ হই। প্রশিক্ষণ প্রদানসহ উচ্চমূল্যের ফসল চাষের পরামর্শ দেন কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার। এছাড়া উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়মিত গিয়ে খোঁজ খবর দিয়ে সহযোগিতা করতেন। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছিলাম গ্রীষ্মকালীন টমেটোর আধুনিক জাত। তারপরই সফলতার শুরু।
নবীগঞ্জের উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম মাকসুদুল আলম বলেন, মুকিত টমেটো চাষে লাভ পেয়ে বড় পরিসরে আবাদ শুরু করেছেন। জৈব সার ব্যবহার করে টমেটো চাষ করায় গত বছরের চেয়ে এ বছর আরো ভালো ফলন হয়েছে। বাজারে বিষমুক্ত টমেটো সরবরাহের লক্ষ্যে আমরা নিয়মিত মনিটরিং করছি। আগে ভোক্তাদের কাছে জনপ্রিয় টমেটোর প্রাপ্তিকাল ছিল শুধু শীতকালের কয়েকটি মাস। ফলে গ্রীষ্মকালে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতে থেকে আমদানীর মাধ্যমে চাহিদা পূরণ করা হতো। সিলেট অঞ্চল বৃষ্টিবহুল হওয়ায় এ অঞ্চলে গ্রীষ্ম বা বর্ষাকালে টমেটো চাষ বেশ কষ্টকর। তারপরও অসময়ে ফলন ও উচ্চমূল্য প্রাপ্তির কারণে কৃষক আব্দুল মুকিতসহ অন্য কৃষকদের মাঝে গ্রীষ্মকালীন টমেটো চাষ ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছে।সূত্র-jagoজr্রon
Leave a Reply