সারাদেশে রবিবার রাতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নয় মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। রাজশাহী, নরসিংদী, ঝিনাইদহ, গাজীপুর, চুয়াডাঙ্গা ও টাঙ্গাইলে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলিতে ছয়জন মারা যান। এদিকে যশোরে নিজেদের মধ্যে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ তিনজন মারা গেছেন বলে পুলিশ জানিয়েছে।
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে র‌্যাব-১২ এর সঙ্গে একদল মাদক ব্যবসায়ীর গুলি বিনিময় হয়। এতে মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদ গুলিবিদ্ধ হন। তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান।
নরসিংদীর পলাশে র‌্যাব-১১ এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নরসিংদীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। নিহত ব্যক্তির নাম ইমান আলী (৩৩)। তার বিরুদ্ধে ১১টি মামলা আছে।
টঙ্গীর নিমতলী এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রেজাউল ইসলাম রনি ওরফে বেসতি রনি (২৭) এরশাদ নগর এলাকার ৩নং ব্লকের স্থায়ী বাসিন্দা হাফিজুল ইসলামের ছেলে। তার বিরুদ্ধে টঙ্গী থানায় হত্যা, মাদক ও অস্ত্রসহ ১৫টি মামলা রয়েছে। টঙ্গী থানার (ওসি) কামাল হোসেন বলেছেন, রনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী তার লাশ উদ্ধার করে গাজীপুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগরের উথলী গ্রামের সন্যাসীতলা মাঠে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ আলী নামে চিহ্নিত এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তিনি ওই গ্রামের আমতলা পাড়ার মো. জামাত আলীর ছেলে। তার বিরুদ্ধে ১১টি মাদক মামলা রয়েছে।
ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার নরেন্দ্রপুর এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ সবদুল ইসলাম মণ্ডল (৪৫) নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। তিনি নরেন্দ্রপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলীর ছেলে। এ সময় র‌্যাবের তিন সদস্য আহত হয়েছেন।
রাজশাহীর বেলপুকুর থানার ছোট জামিরা এলাকায় র‌্যাব-৫ এর সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হন। তাকে গুলিবিদ্ধাবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনাস্থল থেকে বিপুল পরিমাণ ইয়াবা, অস্ত্র ও গুলি পাওয়া যায়।
যশোরে মাদক ব্যবসায়ীদের নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে তিনজন মারা যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। সোমবার সকালে তাদের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।