বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ভারতের অর্থনীতি। মাত্র কয়েক মাস আগেও বিশে^র দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতির খেতাব পাওয়া ভারত এখন অর্থনীতির সকল খাত ও ধাপেই পিছিয়ে পরছে। কমে গেছে বেসরকারি বিনিয়োগ, বাজারে লেনদেন ও বিক্রি কমেছে, কমেছে রপ্তানি। এবার কমে গেছে সরকারি আয়। অর্থনীতির প্রধান ৪ স্তম্ভের প্রতিটিই আছে নেতিবাচক ধারায়। দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার

ভারতের অর্থ মন্ত্রনালয় এর তথ্য বলছে চলতি অর্থ বছরের শুরু থেকেই খরচ কমানো শুরু করেছে প্রশাসন। কেন্দ্রীয় প্রকল্পে খরচ কমানো হচ্ছে। রাজস্ব আয় থেকে রাজ্যগুলোর ভাগেও কম অর্থ যাচ্ছে। চতুর্দশ অর্থ কমিশনের নিয়ম মেনে কেন্দ্রের মোট রাজস্ব আয়ের ৪২ শতাংশ রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দেয়ার কথা। কিন্তু বাজেট অনুযায়ী, চলতি অর্থ বছরে মাত্র ৩৩ শতাংশ রাজ্যগুলির মধ্যে ভাগ করে দেয়া হবে। অর্থনীতিবিদদের বক্তব্য, এমনিতেই যখন অর্থনীতি গতি হারিয়েছে, তখন সরকারি প্রকল্পেই যদি কম খরচ হয়, তা হলে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার আরো কমে যাবে। রাজ্যগুলি যদি কেন্দ্রের থেকে কম অর্থ পায়, তা হলে রাজ্য স্তরেও উন্নয়ন প্রকল্পে খরচ কমবে। এ হলো দুষ্টচক্রের ফাঁদ।

এক দিকে, আর্থিক প্রবৃদ্ধি কমে যাওয়ায় রাজস্ব আয় কমছে। অন্য দিকে, রাজস্ব আদায় কমছে বলে খরচে রাশ টানা হচ্ছে। তার ফলে আরও প্রবৃদ্ধি কমার আশঙ্কা বাড়ছে।

গত অর্থ বছরের শেষ তিন মাস, জানুয়ারি থেকে মার্চে আর্থিক প্রবৃদ্ধির হার ৫.৮ শতাংশে নেমে এসেছিল। যা মোদীর শাসনামলে সর্বনিম্ন। অর্থনীতিবিদদের মতে, লোকসভা নির্বাচনের আগে অন্তবর্তী বাজেটে ঘাটতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে গিয়ে সরকারি খরচ ছাঁটাইয়ের ফলেই প্রবৃদ্ধির হার কমে গিয়েছিলো। কিন্তু নতুন অর্থ বছরেও পরিস্থিতি একই আছে।