আমাদের প্রত্যেক জাতকের জীবনে বৃহস্পতির প্রভাব রয়েছে। এই প্রভাব অধিকাংশ ক্ষেত্রে শুভ হয়। বৃহস্পতি গ্রহের কৃপায় আমরা সবাই বেঁচে থাকি। বৃহস্পতির মাতা শ্রদ্ধা, শ্রদ্ধা কর্দম ঋষির তৃতীয় কন্যা। তাঁর বিবাহ হয়েছিল অঙ্গিরা ঋষির সঙ্গে। তাঁর বোন যোগ সিদ্ধা।
বৃহস্পতি জন্ম পত্রিকাতে যে স্থানে থাকে, সেই স্থানে ক্ষতি করে। কিন্তূ যে স্থানে দৃষ্টি দেয় সেই ভাবে শুভ ফল দেয়। বৃহস্পতি যদি লগ্ন ভাবে বসে, তা হলে জন্মকুণ্ডলীতে সমস্ত দোষ দূর করে দিতে পারে।
বৃহস্পতি পঞ্চম, সপ্তম, নবম ভাবে পূর্ণ দৃষ্টি থাকে। দ্বিতীয়, পঞ্চম, দশম, একাদশ ভাবের কারকত্ব।
জ্যোতিষে বৃহস্পতি বাক পটুতা, দেব স্থান, কর্মযোগ, মাঙ্গলিক কাজ, কর্তব্য, বাহন, কীর্তি, প্রতাপ, ধর্ম, শিক্ষা, স্বর্ণ, পুত্র, মন্ত্র,অন্তরজ্ঞান, রাজতন্ত্র, প্রবচন কারী, লেখক, প্রকাশক, রাজ্য সুখ, রাজ কৃপা, সচিব, শারিরিক পুষ্টতা, রত্ন ব্যবসায়ি, ন্যায় বান,শ্রাপ, আধ্যাত্মিকতা, রাজনীতি, উচ্চাভিলাস, শিক্ষক, অধ্যাপক, সুসজ্জিত বাহন, সুখদায়ক নিবাস, পুত্র কারক, উকিল,ন্যায়ধিস।

নবগ্রহের মধ্যে বৃহস্পতি অত্যাধিক গুরুত্বপূর্ণ। এই গ্রহ জাতকের জীবনে শুভতা ও সুখ প্রদানকারী। বৃহস্পতিকে দেবগুরু বলে। সমস্ত দেবতার পূজনীয়। বৃহস্পতি যদি জন্ম পত্রিকাতে ভাল থাকে, তা হলে পত্রিকার সমস্ত বিপত্তি দূর করে। বৃহস্পতিকে ধন, জ্ঞান, সম্মান, সন্তান ইত্যাদির কারক মনে করা হয়। বৃহস্পতির মূল্যায়ন না করে কোনও ফলাদেশ করা সম্ভব নয়।বৃহস্পতি সৌরমণ্ডলে সর্ববৃহৎ গ্রহ।
স্কন্ধ পুরাণ অনুসারে, প্রভাস তীর্থে গিয়ে বৃহস্পতি ভগবান শিবের কঠোর তপস্যা করেন। তখন তার প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে তাকে দেবগুরু পদ প্রদান করা হয়। বৃহস্পতিকে অগ্নিদেবের অবতার মনে করা হয়। বৃহস্পতি বলবান হলে জাতক মন্ত্রী পদ প্রাপ্তি হয়। কর্কট রাশিতে বৃহস্পতি উচ্চ। শুক্রর পর সর্বাধিক শুভ গ্রহ বৃহস্পতি। বৃহস্পতি অশুভ থাকলে জাতককে গোটা জীবন সংঘর্ষ করতে হয়। এই জাতক পূর্ব জীবনের অশুভ ফল ভোগের জন্য জন্ম নেয়।
বৃহস্পতির দৃষ্টিতে অমৃত বৃষ্টি হয়। বৃহস্পতি লগ্নে বা রাশিতে থাকলে জাতক তাঁদের জীবনে লক্ষ্য স্থির করে গভীর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে কঠোর পরিশ্রম করে। নিঃস্বার্থ ভাবে এঁরা সমাজ সেবা করেন।