গত ৫ আগস্টের আগে কাশ্মির থেকে প্রশিক্ষণের জন্য ভারতের পুনেতে গিয়েছিলেন নার্সিংয়ের ৩২ জন ছাত্রী। এরপর ভারত সরকার কর্তৃক বিশেষ সাংবিধানিক মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর ভারতের অভ্যন্তরে থাকা কাশ্মিরীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বেশ কিছু জায়গায় কাশ্মিরী লোকজন হয়রানির শিকার হন।

এরই মধ্যে এক বিজেপি নেতা যুবকদের আহ্বান জানান যে, তারা যেন কাশ্মিরে যায় এবং ‘ফর্সা মেয়েদের বিয়ে করে’। এখন আর তাদের সামনে কোনো বাধা নেই।

এমন আপত্তিকর আহ্বানের পর ভারতের বিভিন্ন স্থানে থাকা কাশ্মিরী নারীদের মধ্যে আরও ভয় ছড়ায়। এর আগে পুলওয়ামা হামলার পরও কাশ্মিরীরা হয়রানির শিকার হয়েছিলেন।

এমন পরিস্থিতিতে শিখ ধর্মাবলম্বী হরমিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া নামের এক ব্যক্তি ফেসবুকে ভিডিও বার্তা প্রচার করে কাশ্মিরীদেরকে আহ্বান জানান, ‘আপনারা যদি ভীতসন্ত্রস্ত বোধ করেন তাহলে যে কোনো গুরুদুয়ারায় (শিখদের উপসনালয়) আশ্রয় নিন। সেখানে আপনাদের থাকার ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।’

এরপর ৫ আগস্টই পুনে থেকে একজন নারী যোগাযোগ করে জানান, তার ৩২ জন ছাত্রী কাশ্মির থেকে প্রশিক্ষণের জন্য এসেছিলেন। এখন তারা চরম ভয়ের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। এর আগে কখনো শ্রীনগরের বাইরে না যাওয়ায় তাদের মধ্যে আরও বেশি ভয় কাজ করছে। ওদেরকে শ্রীনগরে পোঁছানোর ব্যবস্থা করতে হরিন্দর কোনো সহায়তা করতে পারবেন কিনা?

তখন ফেসবুকে এই ঘটনা জানিয়ে নতুন ভিডিও পোস্ট করেন হরমিন্দর। আহ্বান জানান, যে যা পারেন সহায়তা করতে। এই টাকা দিয়ে আতঙ্কে থাকা ৩২ ছাত্রীর বাড়ি ফেরার বিমান টিকেট করা হবে।

দুই দিনের মধ্যেই কাঙ্খিত অর্থের সংস্থান হয়। শিখরা সহায়তা করেন টাকা উত্তোলনে। এরপর গত শুক্রবার ও শনিবার ছাত্রীদেরকে কাশ্মিরের তাদের নিজ নিজ ঠিকানায় পৌঁছে দেয়া হয়।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।