রাজনীতি | তারিখঃ আগস্ট ১২, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 427 বার
ঈদের দিনে বিএনপি চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন দীর্ঘদিন ধরে নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে বসবাস করা বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
সোমবার (১২ আগস্ট) বেলা ১টায় বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মিছিলটি নয়াপল্টনস্থ বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শুরু হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবারও বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের নিকট এসে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিলে নেতৃত্ব দেন বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। মিছিলে বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, তাঁতী দলের আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র যুগ্ম সম্পাদক আরিফুর রহমান নাদিম, তাঁতী দলের সদস্য সচিব হাজী মজিবুর রহমান, মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, পল্টন থানা বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক ফিরোজ আলম পাটোয়ারী, বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিন, ছাত্রদল ঢাকা মহানগরের সাংগঠনিক সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়নসহ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন সমূহের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
মিছিল শেষে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, চার বারের সর্বাধিক জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ভয়াবহ অসুস্থতার পরও এই মিডনাইটের সরকার তাঁর প্রতি আরো হিংস্র হয়ে উঠেছে। দেশের কোন বিশেষায়িত হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে বরং প্রতিনিয়ত বিভিন্নভাবে জামিনে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। আজ ঈদুল আযহার দিনেও দেশনেত্রীর মনে আনন্দ নেই। কারণ জনগণের প্রিয় নেত্রীকে অন্যায় ও অবিচারমূলকভাবে কারাগারে বন্দী রাখা হয়েছে। ব্যক্তিগত আক্রোশের শিকার দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারাবন্দী রেখে তিলে তিলে নিঃশেষ করতে পারলেই সরকারের লক্ষ্য পূরণ নিশ্চিত হবে। কিন্তু দেশের জনগণসহ জাতীয়তাবাদী শক্তি দেশনেত্রীকে কারামুক্ত করতে প্রবল সাহস ও উদ্যম নিয়ে রাজপথে নেমে আসবে। আমি এই মূহুর্তে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি করছি।
রিজভী বলেন, এই অবৈধ সরকার দেশের মানুষকে মানুষ হিসেবে গণ্য করে না। জোর করে ক্ষমতাসীন হয়ে বর্তমান সরকারপ্রধান দেশকে নিজের জমিদারী বানিয়ে ফেলেছে। সেজন্য জনস্বার্থের দিকে তাদের কোন ভ্রুক্ষেপ থাকবে না এটাই স্বাভাবিক। ডেঙ্গু সমস্যা যখন প্রকট আকার ধারণ করেছে তখন এটিকে আমলে না নিয়ে সরকারের মন্ত্রী-নেতারাসহ সিটি মেয়র’রা নির্বিকার থেকেছে, তামাশা করেছে। তাদের কোন পূর্ব প্রস্তুতি ছিল না। এই কারণে ডেঙ্গু এখন মহামারী আকার ধারণ করেছে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার আগে গত বছরের ৩০ জানুয়ারি থেকেই দলীয় কার্যালয়ে অবরুদ্ধ রয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। বিএনপি চেয়ারপারসন কারাবন্দি হওয়ার পর থেকে এখনো তিনি সেখানেই রয়েছেন। এই সময়ে বেগম জিয়া কারাগারে ৪টি ঈদ কাটিয়েছেন। আর বাইরে থেকেও বেগম জিয়ার মুক্তি না হওয়ায় নিরানন্দে ঈদ কেটেছে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিবের। প্রিয় নেত্রীকে কারাগারে রেখে কোন উৎসবেই আগ্রহ নেই রিজভীর।
Leave a Reply