ঢাকা-টাঙ্গাইল ও বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে রোববারও ভয়াবহ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে এই মহাসড়কে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। দীর্ঘসময় যানজটে আটকে থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঈদে ঘরমুখো মানুষ। বিশেষ করে বয়স্ক ও শিশুরা রয়েছে চরম কষ্টের মধ্যে। এই যানজটে ঈদের আনন্দ ফিকে হয়ে গেছে বাড়ির উদ্দেশে রওনা হওয়া হাজারো যাত্রীর।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা যানজটে গাড়ি আটকে থাকায় খাবার, পানি ও টয়লেট সুবিধার অভাবে শিশু ও নারীরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।

ক্ষুব্ধ যাত্রীরা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। ঢাকামুখী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুজন বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।

বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ওসি (তদন্ত) মাসুদ রায়হান জানান, সেতুর পশ্চিম দিকে সিরাজগঞ্জে যানজটের কারণে সকাল ৬টা ১২মিনিট থেকে শুরু করে ৮টা ৩৬ মিনিট পর্যন্ত পাঁচ দফায় টোল আদায় বন্ধ রাখতে হয়েছিল। এতে ঢাকার দিক থেকে আসা যানবাহন টাঙ্গাইলে আটকা পড়ে।

দূরপাল্লার বাসের চালক ও যাত্রীরা যানজটের জন্য মালামাল ও যাত্রীবাহী ট্রাক, পিকআপ ভ্যান ও অন্যান্য যানবাহনকে দায়ী করেছেন। গত ঈদের মতো এবারও মহাসড়কে অব্যবস্থাপনার জন্য যাত্রীদের অনেকেই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন।

বঙ্গবন্ধু সেতুর একজন কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩ হাজার ১২০টি যানবাহন সেতু অতিক্রম করেছে। এই সময়ের মধ্যে উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের দিকে গেছে ২১ হাজার ৮২১টি গাড়ি ও ঢাকা অভিমুখে এসেছে ১২ হাজার ২৯৯টি গাড়ি।

এর আগে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যক ৩৬ হাজার ২৭৮টি গাড়ি বঙ্গবন্ধু সেতু পার হয়েছে