জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ আগস্ট ১০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 301 বার
হোটেলে ঈদের বাসের যাত্রাবিরতিতে নেত্রকোনায় গৃহবধূকে গণধর্ষণের অভিযোগে ছয়জনকে আটক করেছে মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (১০ আগস্ট) ভোর রাতে সদর উপজেলার চল্লিশা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
বাড়ি পৌঁছার আগেই এমন ঘটনার শিকার হওয়ায় ঈদের আনন্দ বিষাদে পরিণত হয়েছে ওই গৃহবধূর। এ অবস্থায় কাঁদছেন ওই গৃহবধূ ও তার স্বামী।
শনিবার ভোররাতে নেত্রকোনার চল্লিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশের এক প্রেস রিলিজ সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার ১৮ বছর বয়সী এক তরুণী ও তার স্বামী ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন সিডস্টোর থেকে স্বামীর ফুফুর বাড়ি কলমাকান্দার উদ্দেশে বাসে ওঠে এবং ময়মনসিংহ বাসষ্ট্যান্ডে নামে। সেখান থেকে নেত্রকোনার বাসে উঠলে তাদের বাসটি চল্লিশা বাজারে এলে তরুণী সন্ধ্যা অনুমান সাড়ে ছয়টার দিকে চল্লিশা রাজেন্দ্রপুরের বিসিক শিল্প নগরীর সামনে নেমে সারিন্দা ফাস্ট ফুডের পিছনে টয়লেট ব্যবহার করতে যান। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল এবং তার স্বামীকে বাহিরে আটকে রাখে।
এরপর টয়লেটের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা লোকেরা তরুণীকে বিভিন্ন যৌন নিপীড়ক কথাবার্তা বলে এবং কু-প্রস্তাব দেয়। তাদের মধ্যে একজন ভিকটিমকে টয়লেটের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
পরবর্তীতে আসামিরা তরুণীকে সারিন্দা ফাস্ট ফুডের ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনের রুমে নিয়ে যায়। ম্যানেজার মাহফুজুল ইসলাম মামুনের সহযোগিতায় এনামুল হক সম্রাট (২৭), জিহান (২৭), রাসেল (৩০), জামান বাশার(২৭), রেজাউল করিম পাভেল(২৮), সাইদুল ইসলাম(৩০), সবাই মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এরা সবাই রাজেন্দ্রপুর এলাকার বাসিন্দা।
পরে ভিকটিম তরুণীসহ স্বামীকে একটি রুমে আটকে রাখে। রাত একটার দিকে ভিকটিম ও তার স্বামীকে এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার হুমকি দিয়ে ছেড়ে দেয়। রাত আনুমানিক দুইটার সময় ভিকটিম ও তার স্বামী থানায় এসে ঘটনাটি পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ভিকটিমকে চিকিৎসার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে অভিযান শুরু করে।
ভোর পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ধর্ষণকারীদের সহযোগী হোটেল ম্যানেজার সহ ছয় জনকে গ্রেফতার করে।
এ সংক্রান্ত নেত্রকোনা মডেল থানার মামলা নং-১৭, তারিখ: ১০-০৮-২০১৯ খ্রি. ধারা-নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন-২০০০ (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(৩)/৩০ রুজু করা হয়।
অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানায় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম আশরাফুল আলম বলেন, এ ঘটনায় ছয়জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এরই মধ্যে গৃহবধূকে গণধর্ষণে জড়িত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ গৃহবধূকে গণধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে তারা। গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠনো হয়েছে।
Leave a Reply