ভারত অধিকৃত কাশ্মীরের জম্মু জেলার পৌরসভাগুলো থেকে জারিকৃত ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করা হয়েছে। খবর ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এশিয়ান নিউজ ইন্টারন্যাশনালের (এএনআই)।

শুক্রবার জম্মুর ডেপুটি কমিশনারের কার্যালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। এতে জেলার ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট সুষমা চৌহানের সই ছিল।

বিজ্ঞপ্তিটিতে বলা হয়, গত ৫ আগস্ট জারি করা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। আগামীকাল থেকে এখানকার সব স্কুল, কলেজ এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিকভাবে চলতে পারে।
এদিন সকালে কাশ্মীরে আংশিকভাবে ফোন ও ইন্টারনেট সেবা এবং জুমার নামাজের আগে রাস্তাঘাটে চলাচল সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞাগুলো শিথিল করা হয় বলে জানায় ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি।

গত ৫ আগস্ট রাষ্ট্রপতির নির্দেশ জারির মাধ্যমে সোমবার ভারত সরকার দেশটির সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল ঘোষণা করে।

এছাড়া অঞ্চলটিকে ভেঙে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ নামের দুটি আলাদা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করা হয়। দেশটির লোকসভায় ৬ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি বিল পাস হয়।

ভারতের এসব পদক্ষেপের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ আগস্ট পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে দেশটির ন্যাশনাল সিকিউরিটি কমিটি (এনএসসি) পাঁচটি সিদ্ধান্ত নেয়।

সিদ্ধান্তগুলো হলো- ভারতের সঙ্গে সব দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য স্থগিত করা, দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করা; পাকিস্তান-ভারতের দ্বিপক্ষীয় কর্মসূচিগুলো পর্যালোচনা করা; বিষয়টি জাতিসংঘে নিয়ে যাওয়া এবং আগামী ১৪ আগস্ট পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবসে কাশ্মীরিদের প্রতি সংহতি জানানো এবং ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসকে কালো দিবস হিসেবে পালন করা।

এছাড়া পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেন, আমাদের রাষ্ট্রদূতরা আর নয়াদিল্লিতে থাকবেন না এবং তাদের রাষ্ট্রদূতদেরকে ফেরত পাঠানো হবে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ৮ আগস্ট কাশ্মীর নিয়ে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে বলেন, ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ সন্ত্রাসের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। জম্মু ও কাশ্মীরের জনগণ পাকিস্তানের অসৎ উদ্দেশ্যকে পরাজিত করবে।