নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগের জেলা সম্মেলনকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হয়েছেন।

সংঘর্ষ চলাকালে সম্মেলনের ব্যানার, ফেস্টুন ও বিলবোর্ড ভাংচুর করা হয়। এ সময় ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ৫৩ জনকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে জানান হাসপাতালটির আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সৈয়দ মহিউদ্দিন আবদুল আজিম।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, সকাল সাড়ে আটটার দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেলের অনুসারীরা জজকোট সড়ক থেকে মিছিল নিয়ে শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামের দিকে যাচ্ছিল। একই সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয় থেকে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও সদর-সুবর্ণচর আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীও সম্মেলনস্থলে যাচ্ছিলেন। নোয়াখালী টাউন হলের মোড়ে উভয় পক্ষ মুখোমুখি হলে প্রথমে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও পরে সংঘর্ষ বেধে যায়। এক পর্যায়ে ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দে শহরে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

নোয়াখালী পৌরসভার মেয়র শহিদ উল্যাহ খাঁন সোহেল অভিযোগ করেন, বিনা উস্কানিতে এমপি ও তার লোকজন আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালিয়েছে।

এমপি একরামুল করিম চৌধুরী পাল্টা অভিযোগক করে বলেন, শান্তিপূর্ণ সম্মেলনকে বানচাল করার উদ্দেশ্যে তারা শহরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।

পুলিশ সুপার মো: আলমগীর হোসেন বলেন, পরিস্থিতি শান্ত রাখতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থায় রয়েছে।