জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ জুলাই ২৫, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 456 বার
রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ থেকে ভাসমান অবস্থায় প্রান্ত দেওয়ানজি (১৮) এবং তাহমিনা খানম তিন্নি (১৬) নামে এক প্রেমিক যুগলের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জেলা সদরের মগবান ইউনিয়নের বড়গাঙ এলাকা থেকে মরদেহ দুইটি উদ্ধার করা হয়।
প্রান্ত রাঙামাটি শহরের রিজার্ভবাজারস্থ ১নং পাথরঘাটা এলাকার ছোট দেওয়ানজির ছেলে। তিনি ক্যামব্রিয়ান স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আর তাহমিনা খানম তিন্নি (১৮)একই শহরের বনরুপা এলাকার বাসিন্দা। সে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এলাকার শহীদ তালুকদারের মেয়ে ।সে রাঙামাটি লেকার্স পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয়রা জানায়, গত ২৩ জুলাই সকালে প্রান্ত রাঙামাটি সদরের মগবান ইউনিয়নের বড় গাঙ এলাকার উদ্দেশে বের হন। এরপর প্রান্ত তার এক বন্ধুকে ফোন করেন। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। এ ব্যাপারে প্রান্তর বাবা রাঙামাটি কোতয়ালী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন।
হবে।
বন্ধুরা জানিয়েছে, তারা একে অন্যকে অনেক বেশি ভালবাসতো। কিন্তু তাদের সম্পর্ক সমাজ ও পরিবার মেনে নিবে না বলায় এমন হৃদয় বিদারক কাজ করেছিলছে। বন্ধুরা তাদের বুঝানোর অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা যে এমন কাণ্ড করবে বুঝতে পরেনি।
রাঙ্গামাটির কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানিয়েছেন, ‘ফেসবুকে ঘোষণা দিয়ে তারা আত্মহত্যা করেছে। প্রেমের কারণেই এমনটি ঘটেছে বলে জানতে পেরেছি। দুইজন দুই ধর্মের হওয়ায় প্রেমে সফলতার কোনো সম্ভাবনা নেই দেখে আবেগে তারা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হচ্ছে। এই বিষয়ে থানায় অপমৃত্যু মামলা হবে।’
প্রান্ত’র পিতা ছোটন দেওয়ানজী জানান, ‘তারা দু’জন প্রেমের কারণে আত্মহত্যা করেছে বলেই মনে হচ্ছে। আমরা আসলে কিছুই জানতাম না। ভেবেছিলাম কোনো কারণে ছেলে নিখোঁজ হয়েছে। কিন্তু কেনো এটা করলো বুঝতে পারছি না।’
অন্যদিকে মেয়েটি তার যে স্বজনের বাসায় থেকে পড়াশুনা করতো সেই নুরুল আলম মিয়া জানান, ‘আমরা আসলে কিছুই বুঝতে পারছি না। সে আমার বাসায় থেকে পড়াশুনা করতো। কিন্তু কীসের মধ্যে কী হলো কিছুই বুঝতে পারছি না।’
Leave a Reply