অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুলাই ১০, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 364 বার
টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলায় এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রদের সঙ্গে সমকামিতা, ছাত্রীদের স্পর্শকাতর স্থানে হাত ও ফেল করার ভয় দেখিয়ে যৌন নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। ওই শিক্ষকের নাম মো. ওবাইদুল ইসলাম। তিনি কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবকরা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ময়মনসিংহ আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়ের উপপরিচালক এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কাছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে অভিভাবকরা জানিয়েছেন, কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক ওবাইদুল ইসলাম স্কুলের বিভিন্ন ছাত্রকে পড়ানোর নাম করে তাদের সঙ্গে সমকামিতা করতেন। কোনো ছাত্র রাজী না হলে তার বাড়িতে গিয়ে রাত যাপন করতেন। ইংরেজি বিষয়য়ে ফেল করার ভয় দেখিয়ে তাদের সমকামিতায় বাধ্যও করতেন ওই শিক্ষক। শুধু তাই নয়, স্কুলের ভেতরেই বিভিন্ন ছাত্রীদের নিজ কক্ষে ডেকে নিয়ে তাদের শরীরের স্পর্শকাতরস্থানে হাত দিতেন। জড়িয়ে ধরে যৌন নির্যাতনও করেন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা একজোট হয়ে স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ করতে শুরু করেন। পরে কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান ও বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহমদ আল ফরিদ ওই শিক্ষকে শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস জানিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন।
এদিকে অভিভাবকরা ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় এলাকার ছাত্রলীগের সদস্য জাফর আহমেদসহ সাত জনের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন ওবাইদুল ইসলাম। এতে এলাকাবাসীরাও ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে।
আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে কেন্দুয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, ঘটনা সত্য। যাদের সঙ্গে এ ঘটনা ঘটেছে তাদের সঙ্গে কথা বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে। সব অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই শিক্ষকের শাস্তির দাবি করে তিনি আরও জানান, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক ময়মনসিংহ আঞ্চলিক শিক্ষা কার্যালয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগটি বর্তমানে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্মকর্তা তদন্ত করছেন।
এ বিষয়ে ধনবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আরিফা সিদ্দিকা লিখিত অভিযোগ পাওয়ার কথা জানিয়ে বলেন, ‘বিষয়টি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এ বিষয়ে জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর তিনি সরেজমিনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হবে।
এ সব ঘটনা নিয়ে ওবাইদুল ইসলামের সঙ্গে কথা হলে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।সূত্র-আমাদের সময়
Leave a Reply