চাঁদপুর সদর উপজেলার শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের লোদেরগাঁও গ্রামের কৃষক লোকমান হাওলাদারের জমিতে বছরজুড়ে শিম চাষ হয়। পাবনার এক বোনের জমিতে ১২ মাস রুপালি শিমের চাষ দেখে তিনি এ উৎসাহ পান। বর্তমানে তার ৩০ শতক জমিতে শিমের আবাদ রয়েছে।

সম্প্রতি চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক সড়কের দক্ষিণ পাশে লোদেরগাঁও গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, জমিতে অজস্র শিমের ফুল ফুটেছে। মূলত ফুল থেকেই শিমের ফলন হয়।

স্বাভাবিকভাবে বর্ষা মৌসুমে চাঁদপুরে শিমের আবাদ চোখে পড়ে না। আর বছরের যে কোনো সময় শিমের আবাদ করা যায় এ বিষয়েও চাঁদপুরের কৃষকরা জানেন না। এ মৌসুমে কৃষক লোকমানই চাঁদপুরে রুপালি শিমের চাষ করে দেখালেন। কৃষক লোকমান হাওলাদার জানান, তিনি বেশ কয়েক বছর সৌদি আরব গিয়ে কৃষিকাজ করেছেন। তবে সেখানে শিম চাষ করেননি। কয়েক বছর আগে তার এক বোনের বাড়ি পাবনায় গিয়ে তাদের ১২ মাস শিম চাষ করতে দেখেন। তাদের কাছ থেকে প্রশিক্ষণ না নিলেও দেখার কারণে এলাকায় এসে নিজ জমিতে শিমের আবাদ শুরু করেন।
তবে তার শিম গাছের মাচাগুলো খুবই সুন্দর। বাজার থেকে মোটা সুতার জাল কিনে সারি সারি করে শিমের মাচা তৈরি করেছেন। তিনি জানান, ২০১৮ সাল থেকে এই জমিতে শিমের আবাদ করে আসছেন। ২০১৯ সালের শুরুতে এই জমি থেকে ২০ হাজার টাকার শিম বাজারে বিক্রি করেছেন। তার এই জমিতে নিজের পরিশ্রম ছাড়া আরও কিছু খরচ হয়েছে। প্রথম বছর শিম বিক্রি করার পর গাছগুলো আর না কেটে পরিচর্যা শুরু করেন। এখন আবারও শিম গাছে ফুল আর ফল দিতে শুরু করলেও দেখা দিয়েছে পোকার আক্রমণ। বাজার থেকে কয়েকবার কীটনাশক এনে ব্যবহার করলেও পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারছেন না। কৃষক লোকমান তার এই নতুন উদ্যোগটিতে সফল হওয়ার জন্য কৃষি অফিসের সহযোগিতা কামনা করেছেন। কৃষি উপ-সহকারী কর্মকর্তা দুলাল চন্দ্র জানান, লোকমানের শিম চাষের বিষয়টি জানলেও পোকার আক্রমণ সম্পর্কে আমাকে লোকমান কিছুই জানাননি। যেহেতু আমি জেনেছি তাই নিজে গিয়ে দেখে তাকে যথাযথ পরামর্শ ও সর্বাত্মক সহায়তা দেব। যদি লোকমানের জমিতে সারা বছর শিমের উৎপাদন সফল হয়, তাহলে চাঁদপুরের অন্য কৃষকরাও শিম চাষে এগিয়ে আসবেন। তাতে চাঁদপুরে কৃষকদের উৎপাদিত রুপালি শিম স্থানীয় চাহিদা পূরণে ভূমিকা রাখবে। সূত্র-বাংলাদেশ প্রতিদিন