বিদেশ | তারিখঃ জুলাই ৩, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 406 বার
ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনের পর একমাসেরও বেশি সময় পার হলেও, জোটের শীর্ষ পদগুলোতে কারা পাচ্ছেন মনোনয়ন, তা নিয়ে মতৈক্যে পৌঁছাতে পারছিলেন না ইইউ নেতারা। অবশেষে প্রায় মাসব্যাপী অচলাবস্থা কাটিয়ে কয়েক দফার আলোচনা-সমঝোতার পর বুধবার, ব্রাসেলসে জোটের শীর্ষ চার পদে মনোনয়ন চূড়ান্ত করেন তারা। এতে, জোটের শীর্ষ পদ ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয় জার্মান প্রতিরক্ষামন্ত্রী উরশুলা ভন ডার লিয়েনকে। এছাড়াও, আরেক শীর্ষ পদ ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয় আরেক নারী আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল-আইএমএফের প্রধান ক্রিস্টিনস লাগার্দকে। পরে, এক সংবাদ সম্মেলনে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানান জার্মান চ্যান্সেলরে অ্যাঙ্গেলা মার্কেল।
অ্যাঙ্গেলা মার্কেল বলেন, আমার মনে হয় তারা দুইজনই এ দুই পদে যোগ্য ব্যক্তি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে এবং ইউরোপীয় পার্লামেন্টের অনুমোদন পেলে ৫২ বছরের ইতিহাসে ইউরোপীয় কমিশনের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট পেতে যাচ্ছি আমরা। সেইসঙ্গে কমিশনের প্রথম জার্মান প্রেসিডেন্টও হবেন তিনি। এছাড়াও, আমি মনে করি ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রধান হিসেবে লাগার্দও যোগ্য ব্যক্তি। ইএমএফের প্রধান হিসেবে তিনি যেভাবে এতদিন তার যোগ্যতার প্রমাণ দিয়ে এসেছেন, তাতে করে আমার বিশ্বাস তিনি ইসিবি’তেও ভালো করবেন।
এদিকে, ইউরোপীয় কমিশনের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জ্যঁ ক্লদ জাঙ্কারের পক্ষ থেকে তার উত্তরসূরি হিসেবে লিয়েনের মনোনয়নকে স্বাগত জানালেও, জোটের শীর্ষ দুই পদে দুই নারীর মনোনয়ন এক বিরাট প্রশ্নবোধক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন ইউরোপীয় কাউন্সিলের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক। পার্লামেন্ট শেষ পর্যন্ত তাদের মনোনয়ন চূড়ান্ত অনুমোদন দেবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি।
জোটের আরেক শীর্ষ পদ ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে বেলজিয়ামের উদারপন্থী অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী চার্লস মিচেলকে। মনোনয়ন পেয়ে তাই স্বভাবতই খুশি তিনি। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জোটের নেতাদের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানান ইইউ নেতা চার্লস মিচেল।
Leave a Reply