বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীর ‘গালে চুমু দিয়ে ব্রণের চিকিৎসা’ করার অভিযোগে রাজধানীর ধানমণ্ডির পপুলার হাসপাতালের চিকিৎসক শওকত হায়দারকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।গতকাল সোমবার তাঁকে এ হাসপাতাল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় বলে জানান হাসপাতালটির মহাব্যবস্থাপক সুকুমার রায়।

সুকুমার রায় গনমাধ্যমকে জানান , ডা. শওকত হায়দার আমাদের এখানে বসে রোগী দেখতেন। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠায় কর্তৃপক্ষ এখন থেকে এখানে আর না আসতে বলে দিয়েছে।

চর্ম ও যৌনরোগ বিশেষজ্ঞ এবং লেজার কসমেটিক সার্জন ডা. শওকত হায়দারের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি ব্রণের ইনফেকশন চেক করতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্রীর গালে চুমু খান। তিনি ইনজেকশন দেওয়ার নাম করে ওই ছাত্রীর বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন।

এ ঘটনার পর মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী। তিনি পরিবারের সঙ্গে আলোচনা করে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।

‘আলোচিত এ চিকিৎসা পদ্ধতি’ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী এবং চিকিৎসকের মধ্যকার একটি ফোনালাপও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়।

ফোনালাপ থেকে জানা যায়, ছাত্রী চিকিৎসকের কাছে ফোন করে জানতে চান, আপনি কেন চুমু খেলেন। তখন ডা. শওকত বলেন, ‘কিস করিনি, একটা দাগ ছিল সেটা দেখেছি।’ তখন ছাত্রী আবার জানতে চান, ‘দাগ দেখতে ঠোঁট দিয়ে দেখতে হয় নাকি।’ তখন চিকিৎসক বলেন, ‘গালে ইনফেকশন আছে কি না সেটা দেখেছি।’ পরে ডা. শওকত ছাত্রীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন।