মালিক-শ্রমিকদের দ্বন্দ্বের জেরে বরিশাল নগরীর রূপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে পশ্চিমের সাত রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে শনিবার সকাল ১০টা থেকে। দু’দল শ্রমিকের মধ্যে দ্বন্দ্বের জের ধরে বরিশালের এক বাস মালিককে লাঞ্ছিত করা এবং ঝালকাঠির এক চালককে মারধরের ঘটনার পর বন্ধ রয়েছে বাস চলাচল।
বরিশাল বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাওসার হোসেন শিপন বলেন, শনিবার সকাল ১০টার পর থেকে ঝালকাঠির বাস মালিকরা বরিশাল-ঝালকাঠি সীমান্তের রায়াপুর নামক স্থানে তাদের বাসগুলো নিয়ে যান এবং সেখান থেকে পশ্চিমের ৭ রুটে যাত্রী পরিবহন করছেন। রুটগুলো হচ্ছে- বরিশাল-ঝালকাঠি, বরিশাল-রাজাপুর, বরিশাল-পিরোজপুর, বরিশাল-খুলনা, বরিশাল-ভাণ্ডারিয়া ও বরিশাল-মঠবাড়িয়া। আকস্মিক বাস চলাচল বন্ধ হওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই ৭ স্থানে যাওয়া-আসার যাত্রীরা। কারণ রায়াপুর থেকে ওইসব যাত্রীকে বাসে উঠতে এবং নগরীতে ফিরতে প্রায় ৪ কিলোমিটার সড়ক অতিক্রম করতে হচ্ছে ইজিবাইকে। এতে গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়াও।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক ।
পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংশ্নিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, শনিবার সকাল আনুমানিক ৯টায় রূপাতলী বাস টার্মিনালে ঝালকাঠি এবং পিরোজপুরের বাস শ্রমিকদের মধ্যে যাত্রী টানাহেঁচড়া নিয়ে হাতাহাতি হয় কয়েক দফা। বিষয়টি সমঝোতার জন্য বরিশাল বাস মালিক সমিতির সদস্য ফারুক হাওলাদার ওই দু’পক্ষের শ্রমিকদের কাছে গিয়ে প্রস্তাব দিলে লাঞ্ছিত করা হয় তাকেও। এ ঘটনার পরপর বরিশালের শ্রমিকরা ঝালকাঠির রংধনু পরিবহনের বাসচালক মো. মিলনসহ কয়েক শ্রমিককে মারধর করলে ঝালকাঠির চালক-শ্রমিকরা পশ্চিমের ওই ৭ রুটের বাসগুলো রায়াপুরে নিয়ে যান এবং সেখান থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করেন।
এদিকে ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাসির আহম্মেদ খান অভিযোগ করেন, বরিশাল বাস মালিক সমিতির লোকজন এবং শ্রমিকরা ঈদের আগে থেকে অতিরিক্ত টার্মিনাল ফি ও মালিক সমিতির চাঁদা আদায় শুরু করে। এ নিয়ে ঈদের আগেও কয়েক দফা ঝামেলা হয়। বিষয়টি তখন ঝালকাঠি বাস মালিক সমিতির পক্ষ থেকে বরিশাল ও ঝালকাঠির প্রশাসনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছিল। নাসির আহম্মেদ খান আরও অভিযোগ করেন, গত বৃহস্পতিবার অতিরিক্ত টার্মিনাল ফি ও মালিক সমিতির চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় বরিশালের শ্রমিকরা ঝালকাঠির রংধনু পরিবহনের চালক মো. মিলনকে মারধর করে। এর পর আরও হামলার আশঙ্কায় ঝালকাঠির চালক-শ্রমিকরা তাদের বাস নিয়ে রায়াপুর থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করেন।