অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ জুন ১৫, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 625 বার
তান্ত্রিকের সঙ্গে যৌন মিলনে রাজি না হওয়ায় এক গৃহবধূকে নদীর পানিতে ডুবিয়ে মেরেছেন তার স্বামী। নিহত ওই গৃহবধূর বয়স ৩২। ভারতের উত্তর প্রদেশের আলীগড় শহরের কাছে এক গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার স্থানীয় পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
পুলিশ বলছে, বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত ওই নারীর স্বামী এবং তান্ত্রিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই নারীর স্বামীর নাম মানপাল। ছেলের চোখের সামনে ওই নারীকে নদীর পানিতে ডুবানো হয়। সে সময় ছেলেটি মাকে বাঁচাতে বাবার কাছে কাতর মিনতি করে। কিন্তু তার বাবা এতে কর্ণপাত করেনি।
মানপাল সে সময় তার ছেলেকে এই বলে হুমকি দেন, সে যদি তার মাকে রক্ষা করার চেষ্টা চালায় তবে তারও একই ভাগ্য বরণ করতে হবে।
পুলিশের এসএসপি আকাশ কুলহারি জানান, নিহত নারীর ভাই থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেছেন। ওই নারীর ভাই জানান, তার বোন দুদিন আগে আতংকগ্রস্ত হয়ে তাকে সাহায্যের জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন। ভাই মনে করছিলেন সমস্যাটা মিটে যাবে। কিন্তু বৃহস্পতিবার মানপাল তার স্ত্রীকে জোর করে নদীর কাছে নিয়ে গিয়ে পানিতে ফেলে দেন।
জানা গেছে, ওই তান্ত্রিকের নাম সন্তদাস দূর্গাদাস। পরিকল্পনামাফিক ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে মানপাল ও তান্ত্রিক নদী সাঁতরে পার্শ্ববর্তী বাদুয়ান জেলায় পালিয়ে যায়। তবে পালিয়ে গিয়েও রক্ষা হয়নি তাদের। পুলিশ ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নদী থেকে ওই নারীর লাশও উদ্ধার করা হয়েছে।
অভিযোগ, সম্প্রতি ওই তান্ত্রিকের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয় মানপালের। এরপর তিনি তার স্ত্রীকে ওই লোকের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাপ দিতে থাকেন। স্ত্রী এতে রাজি হননি। আর তাই বৃহস্পতিবার স্ত্রীকে নদীতে ডুবিয়ে হত্যা করেন মানপাল।
পুলিশ বলছে, পুলিশে অপরাধীদের রেকর্ডে ওই তান্ত্রিকের নাম রয়েছে। গত বছর তাকে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
Leave a Reply