নার্সিসিস্ট পার্সোনালিটি ডিসঅর্ডারে ভুগছেন-এ ধরনের লোকের সংখ্যা আজকাল বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক সমীক্ষা বলছে, মেয়েদের একটি বিশাল অংশই নার্সিসিস্ট। সর্দি হলে হাঁচি দিলে কেমন লাগে কিংবা পানিতে পড়তে-পড়তে সেলফি তুললে কেমন লাগবে ইত্যাদি বাতিকে যারা আক্রান্ত তারাই হচ্ছেন নার্সিসিস্ট। এ ধরণের মানুষেরা অন্যের ভালোমন্দকে পাত্তা দিতে নারাজ। নিজের যা মনে হয় তাই করেন তারা। তারা সবার আগে প্রাধান্য দেন নিজেকে। মনে করেন নিজেরাই ‘সুপিরিয়র’। অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক হন তারা।

মনোবিজ্ঞানীদের অভিমত, এ রকম মানুষকে নিয়েই পরবর্তীতে বেশি সমস্যায় পড়তে হয়।

আপনি কি প্রেম করছেন? তবে নিচের লক্ষনগুলো দেখে বুঝে নিন, আপনি একজন নার্সিসিস্টের সঙ্গে প্রেম করছেন কি-না।

নিজের বিষয়ে কথা বলতেই বেশি ভালোবাসে তারা

আপনার সঙ্গিনী বা প্রেমিকা সবসময় তার নিজের কথাই বলেন। তিনি কেবল নিজের সুবিধা-অসুবিধা ইত্যাদি বিষয়েই বলেন। কখনও আপনাকে জিজ্ঞাসা করেন না আপনি কী খেলেন, কেমন আছেন। ছবি তুলে যদি নিজেকে দেখতে খারাপ লাগে বা একটু মোটা লাগে তবে সেই ছবি কিছুতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতে চান না। এ ছাড়া সকলের সামনে আপনাকে অপমান করতে পছন্দ করেন। তবে ধরেই নেবেন তিনি পুরোপুরি নার্সিসিস্ট।

সবসময় খিটমিটে ভাব তার?

প্রেমের শুরুতে তিনি খুবই চার্মিং ছিলেন। কিন্তু এখন তার সিকিভাগও নেই। বরং সবসময় খিটমিটে ভাব তার। সম্পর্কের শুরুতে আপনাকে খুশি করতে কত কী না করেছেন তিনি। উপহার দেওয়া, আপনার পছন্দের খাবার রান্না করা, ঘুরতে যাওয়া সব কিছু দিয়ে আপনার গুরুত্ব ফুটিয়ে তোলা ইত্যাদি। কিন্তু এখন আর সে রকমটা নেই। বুঝে নিন তার সমস্যা রয়েছে।

কথায় কথায় সন্দেহ করেন তিনি?

তিনি কি কথায় কথায় সন্দেহ করেন আপনাকে? ফোনে না পেলেই বকাঝকা করেন? এ ধরনের আচরণে বুঝে নিতে হবে, আপনার তিনি পুরোপুরি মানসিক সমস্যায় ভুগছেন।

কথায় কথায় মত বদলান তিনি?

খেয়াল খুশিতে কাজ করেন তিনি? যখন-তখন নানা সমস্যা তৈরি করেন রাস্তাঘাটে? কখনও- কখনও না বলেই উধাও হয়ে যান? সকলের সামনেই নিজেকে হাসির পাত্র করে তোলেন? আবার কখনোবা সিনেমা দেখতে গিয়েও না দেখে চলে আসেন তিনি?

এ ধরনের সমস্যাও নার্সিসিস্টের লক্ষণ।

নিয়ম বানিয়ে নিজেই ভাঙেন?

মনে করুন, বান্ধবী আপনাকে বললেন, তিনি আজ থেকে আর রাতে ফোনকলে জ্বালাবেন না। আপনার সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যাবেন না তিনি। আপনি মনে মনে ভাবলেন, আপদ বিদায় হলো। কিন্তু দু’ঘন্টা যেতে না যেতেই ফোন করলেন তিনি, আবারও ঘ্যানঘ্যান। ঝগড়া হলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্লক করে দেন। কখনও আবার গালাগালি দিতেও কুন্ঠা বোধ করেন না তিনি। এসব আচরণে বুঝে নিন-আপনার সঙ্গিনী নার্সিসিস্ট, সন্দেহ নেই।

এ ধরনের লক্ষণ দেখলে সময় থাকতে সাবধান হতে হবে। নতুবা পস্তাতে হবে আপনাকেই।সূত্র-ইন্টারনেট