বিদেশ | তারিখঃ মে ১, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 639 বার
আনুষ্ঠানিকভাবে জাপানের সিংহাসনে আরোহন করেছেন নতুন সম্রাট নারুহিতো। বাবা সম্রাট আকিহিতোর ঐতিহাসিক পদত্যাগের পর দাপ্তারিকভাবে মঙ্গলবার মধ্যরাতে সম্রাট হন নারুহিতো। তবে বুধবার সকালে সাদমাটা ও প্রতীকি আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে রাজকীয় সম্পদের উত্তরাধিকার গ্রহণ করেন তিনি।
জাপানের স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ১০টায় সাম্রাজ্যিক রাজদণ্ড ও রাজকীয় সিলমোহরের উত্তরাধিকার গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। নারুহিতোর সম্রাট হিসেবে অভিষেকের মধ্যে দিয়ে জাপানে নতুন রেইওয়া সাম্রাজ্যিক যুগ শুরু হয়ে গেলো। রেইওয়া অর্থ হলো শৃঙ্খলা ও ঐকতান। খবর বিবিসি ও সিএনএনের।
অনুষ্ঠানে নারুহিতোর হাতে একটি তলোয়ারের অবিকল প্রতিরূপ ও একটি রত্ন তুলে দেওয়া হয়। এই দুটি জিনিস সাম্রাজ্যিক ক্ষমতার প্রতীক। শত শত বছর ধরে ঐতিহ্যগতভাবে এক সম্রাটের অধিকার থেকে পরবর্তী সম্রাটের হাতে এ তলোয়ার ও রত্ন তুলে দেওয়ার রীতি।
আরেকটি জিনিস হলো আয়না, যেটি সবেচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়। এই তিনটি জিনিস মিলিতভাবে রাজকীয় সম্পদ হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। আয়নাটি মিয়ে প্রিফেকচারের ইসে মহামন্দিরে রাখা আছে। এটি কখনো তার অবস্থান ছেড়ে যায় না বলে বিশ্বাস করা হয়।
৫৯ বছর বয়সী নারুহিতো জাপানের ১২৬তম সম্রাট হলেন। তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন ও ২৮ বছর বয়সে সিংহাসনের উত্তরাধিকারী যুবরাজ মনোনীত হন। ১৯৯৩ সালে স্ত্রী মাসাকো ওওয়াদার সঙ্গে পরিণয়ে আবদ্ধ হন তিনি।
এর আগে মঙ্গলবার টোকিওর ইম্পিরিয়াল প্যালেস থেকে সিংহাসন ছাড়ার ঘোষণা দেন সম্রাট আকিহিতো। জাপানের ২০০ বছরের ইতিহাসে তিনিই প্রথম সম্রাট, যিনি জীবিত অবস্থায় সিংহাসন ত্যাগ করলেন। ৩০ বছরের মাথায় তিনি এ দায়িত্ব ছাড়লেন।
বয়স ও অসুস্থতার কারণে নিজের দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করতে পারছেন না, এমন অনুভবের কথা জানানোর পর ৮৫ বছর বয়সী সম্রাটকে পদত্যাগ করার আইনি অনুমোদন দেওয়া হয়। জাপানে যদিও সম্রাটের কোনো রাজনৈতিক ক্ষমতা নেই, কিন্তু তাকে জাতীয় প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। সম্রাট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের দুই বছর পর ১৯৯১ সালে নাগাসাকিতে একটি আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতে ক্ষতিগ্রস্ত লোকজনের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে প্রথমবারের মতো প্রথা ভেঙে হাঁটু ভেঙে জনগণের কাতারে বসেন সম্রাট আকিহিতো ও সম্রাজ্ঞী। এরপর থেকে এই ধারা চলে আসছে।
Leave a Reply