রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকার একটি বিপণিবিতানে মারধরের শিকার হয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী। শুক্রবার দুপুরে সেখানকার এক দোকানি তাকে মারধর করেন। এ সময় তাকে নানাভাবে হেনস্তা করা হয়। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।

নিউমার্কেট থানার ওসি আতিকুর রহমান সমকালকে বলেন, অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়। আটক তিন বিক্রয়কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে মূল অভিযুক্ত পলাতক রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।

নির্যাতনের শিকার ছাত্রী সাংবাদিকদের জানান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স পরীক্ষা দিয়ে তিনি ফলের অপেক্ষায় রয়েছেন। পাশাপাশি তিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি এক বান্ধবীকে নিয়ে গাউছিয়া মার্কেটে কেনাকাটা করতে যান। সেখানে ‘ইয়েলো কালেকশন’ নামের একটি দোকানে মারধরের ঘটনাটি ঘটে।

তরুণী জানান, তুচ্ছ বিষয় থেকে এর সূত্রপাত। একটি গহনার দাম নিয়ে তিনি দোকানির সঙ্গে কথা বলছিলেন। এর মধ্যে ক্যাশ কাউন্টারে বসে থাকা একজন তাকে রূঢ়ভাবে বলেন, ‘নিলে নেন, না হলে বের হয়ে যান।’ ওই ছাত্রী তখন জানতে চান, কেন তার সঙ্গে এভাবে কথা বলছেন দোকানি? এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সেই ব্যক্তি অশালীন ভাষায় গালাগাল করেন। একপর্যায়ে ছাত্রীর গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টাও করেন তিনি। তরুণী প্রতিবাদ করলে তাকে চড় মারেন দোকানি। একপর্যায়ে তাকে ধাক্কা দিয়ে দোকান থেকে বের করে দেওয়া হয়। ঘটনার সময় আশপাশের দোকানিরাও তাকে আজেবাজে কথা বলেন।

ভুক্তভোগীর এক বন্ধু জানান, গাউছিয়া মার্কেট থেকে বেরিয়ে ওই ছাত্রী হকার্স মার্কেটে গেলে সেখানেও তার পিছু নেন দোকানটির লোকজন। তিনি যে দোকানে গেছেন, সেখানে গিয়েই তারা কেনাকাটায় বাধা দিয়েছেন। দোকানিদের নিষেধ করেছেন পণ্য বিক্রির জন্য। এভাবে তারা প্রায় আধাঘণ্টা ওই ছাত্রী ও তার বান্ধবীকে বিরক্ত করেন। পরে খবর পেয়ে স্বজনরা পুলিশসহ ঘটনাস্থলে যান।

নিউমার্কেট থানা পুলিশ জানায়, মারধরের ঘটনায় মামলা করতে রাজি হননি ভুক্তভোগী। তবে পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে। তরুণী অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।