শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চ আর মতিঝিলের হেফাজতি তান্ডব কে নিয়ে শুরু হয় জামাত শিবির আর স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সরকার এবং স্বাধীনতা বিরোধী ডিজিটাল প্রপাগান্ডা। সরকার এবং স্বাধীনতাপন্থী সুশীল সমাজের চরিত্র হরন করতে ডিজিটাল প্লাট ফর্মে সক্রিয় হয় স্বাধীনতা বিরোধী জামাত শিবির চক্র।শাহবাগের জাগরন মঞ্চের উদ্যোগক্তাদের চরিত্র হরন, মতিঝিলে হেফাজতি তান্ডবের সময় শত শত আলেম নিহত এবং গুম হয়েছিল বলে অপ্রপ্রচার এর কারনে সাধারন জনগন এখনো মনে করেন মতিঝিলে সেদিন শত শত আলেম ওলামাকে গুম করা হয়েছিল। কিন্তু গুমের একটি প্রমাণ আজও দেখাতে না পারলেও মাঠ পর্যায়ে সরকারের যা ক্ষতি হবার তা হয়েছে। স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের একের পর এক প্রপাগান্ডার সঙ্গে কোনভাবেই পেরে উঠছে না মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি। স্বাধীনতা ও সরকার বিরোধীদের প্রপাগান্ডাকে,অপপ্রচারকেই তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ বিশ্বাস করছেন এবং মিথ্যা তথ্যকেই সত্য হিসেবে মেনে নিচ্ছেন।সাম্প্রতিক সময়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামাত শিবির ,স্বাধীনতা চক্রের সাইবার সন্ত্রাস। ফেসবুক ইউটিউব থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শত শত পেজ খুলে, গ্রুপ করে চলতে থাকে স্বাধীনতা বিরোধীদের অপপ্রচার।কোটা সংস্কার এর নামে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলই ছিল এই স্বাধীনতা বিরোধীদের মূল উদ্যেশ্য। দূঃখজনক হলে সত্য যে এবার কোটা সংস্কার আন্দোলনে স্বাধীনতা বিরোধীদের সাথে ডিজিটাল প্রপাগান্ডায় নামে বামপন্থী ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা। গনজাগরন মঞ্চের সংগঠক ইমরান সরকারসহ বিভিন্ন বাম ছাত্র সংগঠনের নেতা কর্মীরা কোটা সংস্কার নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে গুজব ছড়ানোর মাধ্যমে সহিংস করে তোলে। মিথ্যা এবং গুজবের কাছে যেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অসহায় হয়ে পড়ে। গুজবের কারণে হুজুগে পড়ে তাণ্ডব চালানো হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসভবনে।পরিকল্পিত ভাবে গলায় জুতার মালা পরানো হয় ছাত্রলীগের নেত্রী ইশাকে। প্রধান মন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ সিদ্ধান্তে স্বাধীনতা বিরোধীদের সব চক্রান্ত এবং গুজব নস্যাৎ হয়ে গেলেও এখনো ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছে স্বাধীনতা বিরোধী চক্রের সরকার বিরোধী প্রপাগান্ডা। এই স্বাধীনতা বিরোধী চক্রই গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার পর সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়সহ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ওয়েবসাইট হ্যাক করে ।
প্রায় এক যুগ ধরে জামায়াত শিবির চক্র সুসংগঠিত হয়েই ফেসবুক সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধ এবং সরকার বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসলেও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড অথবা ছাত্রলীগের কোন সাইবার সন্ত্রাস প্রতিরোধ টিম নেই। কোটা সংস্কার এর নামে সরকার ফেলে দেওয়ার যড়যন্ত্র নস্যাৎ হয়ে গেলেও ছাত্রলীগ এবং মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর বোধহয় হওয়া উচিৎ । সেই সাথে সরকারী বিভিন্ন সংস্থায় সাইবার ক্রাইম প্রতিরোধ করার জন্য বিশেষায়িত ইউনিট অথবা টিম গঠন করতে হবে।