খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের বড় মেয়ের জামাই ডা. রাজন কর্মকারের (৪২) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।

রোববার ভোরে ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডের বাসা থেকে স্কয়ার হাসপাতালে নেয়া হয় রাজনকে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

রাজনের শ্যালিকা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কিছু সময় পর রাজনের স্ত্রী কৃষ্ণা কাবেরীও স্কয়ার হাসপাতালে আসেন।

নিহতের স্বজনেরা দাবি করেছেন, ডা. রাজনকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ছিলেন। রাজনের স্ত্রীও একই হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।

রাজনের মা ও মামাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা ময়নাতদন্ত করে মৃত্যুর কারণ পরিষ্কার করার দাবি জানিয়েছেন।

তারা জানান, বছর খানেক আগে কৃষ্ণার দ্বারা মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে রাজন মাসখানেক ঢাকার পপুলার হাসপাতাল, সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিএসএমএমইউ’র আইসিইউতে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

রাজনের মামা সুজন কর্মকার স্কয়ার হাসপাতালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত চাই। লাশের ময়নাতদন্তের মাধ্যমে তার মৃত্যুর কারণ জানতে চাই। এর জন্য আইনিভাবে যা যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করব।’

রাজনের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে স্কয়ার হাসপাতালে ছুটে আসেন ঢাকা ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ ও বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক হুমায়ূন কবির বুলবুল।

তিনি বলেন, ‘রাজন অত্যন্ত মেধাবী চিকিৎসক। এই বয়সে তিনি যে পরিমাণ পড়াশোনা করে, দেশে-বিদেশে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজেকে দক্ষ করেছেন, তা বিরল।’

শেরে বাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা তার মৃত্যুর সংবাদ পেয়েছি। এ বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে।’

রাজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র। প্রায় তিন বছর আগে পারিবারিক সম্মতিতে কৃষ্ণার সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ হন তিনি। কৃষ্ণা বিএসএমএমইউতে সার্জারি বিভাগে সহযোগী অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পেয়েছেন ১৬ মার্চ।