বিদেশ | তারিখঃ মার্চ ৯, ২০১৯ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 790 বার
জঙ্গিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণার পর গতকাল বৃহস্পতিবার পাকিস্তান সরকার ১৮২টি মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এ ছাড়া গত কয়েক দিনে শতাধিক সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে।
নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে গত কয়েক বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান। ইসলামি কল্যাণ সংস্থাগুলোকে লক্ষ্য করে এই অভিযান চালানো হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, ওই সংস্থাগুলো সামনে রেখে জঙ্গি কার্যক্রম চালানো হয়।
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের কাশ্মীরের পুলওয়ামায় আত্মঘাতী হামলার পর আন্তর্জাতিক মহলের চাপ বাড়লে এই পদক্ষেপ নিল পাকিস্তান। গতকাল মন্ত্রণালয় বলেছে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চলতি সপ্তাহে ১২১ জনকে আটক করেছে। ১৮২টি মাদ্রাসার ব্যবস্থাপনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম সিএনএন-এর খবরে বলা হয়েছে, জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদের অস্তিত্ব দেশটিতে নেই বলে দাবি করেছেন পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আসিফ গফুর। যদিও এর আগে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশি বলেছিলেন, জেইএম নেতা মাসুদ আজহার পাকিস্তানেই আছেন।
দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ আসন্ন হয়ে পড়লে কী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে গফুর বলেন, ‘আমরা বলতে পারি ভারত পাকিস্তানের আকাশসীমা লঙ্ঘন করায় এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমরা পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তানে জেইএমের অস্তিত্ব নেই। এই সংগঠনটিকে জাতিসংঘ এবং পাকিস্তান নিষিদ্ধ করেছে।’
ভারতে হামলায় জেইএমকে ব্যবহার
এদিকে ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সাবেক প্রেসিডেন্ট পারভেজ মোশাররফ বলেছেন, জেইমএম একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। তবে তাঁর শাসনামলে ভারতে হামলা চালানোর জন্য দেশটির গোয়েন্দা সংস্থা জেইএমকে ব্যবহার করত।
Leave a Reply