পুরান ঢাকার চকবাজারে আগুনের ঘটনায় ৮১টি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে৷ বুধবার রাতে চকবাজারের যে রাজ্জাক ভবনে প্রথমে আগুন লাগে সেখানে রাসায়নিকের গুদাম ছিল৷ আন্ডারগ্রাউন্ড এবং একতলা ও দোতলায় ছিল সুগন্ধি কেমিক্যালের গুদাম৷ আর নীচ তলায় প্লাস্টিকের কাঁচামালের দোকানও ছিল৷ সরু গলির ভিতরে ওই ভবনে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন লাগার সময় গলিটি ছিল যানজটে পরিপূর্ণ৷ এরপর আগুন আরো ৪-৫টি ভবনে ছড়িয়ে পড়ে৷ সরু গলির কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িও ঠিকমত ঢুকতে পারেনি, পানি পাওয়া যায়নি৷ তাই ঢাকার ফায়ার সার্ভিসের ৩৭ ইউনিট একযোগে কাজ করলেও আগুন থেকে রক্ষা করা যায়নি মানুষের জীবন আর সম্পদ৷

ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন) মেজর একেএম শাকিল নেওয়াজ বৃহস্পতিবার সকালে ৭০টি মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছিলেন৷ তিনি বলেছিলেন, ‘‘আগুন নিয়ন্ত্রণে, তবে পুরোপুরি নেভেনি৷ কিছু কিছু জায়গায় এখনও আগুন জ্বলছে৷ বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান, বডি-স্প্রে, প্লাস্টিক দ্রব্য এসবের কারণে আগুন ছড়িয়েছে৷ আর সরু রাস্তার কারণে আগুন নেভানোর কাজে সমস্যা হয়েছে৷ লাশের সংখ্যা আরো বাড়ার আশঙ্কা আছে৷’’