স্বরাষ্টমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামালের উপস্থিতিতে কক্সবাজারের টেকনাফে আত্মসমর্পন করেছেন ইয়াবা ব্যবসায়ীরা। তারা সাতটি শর্তে ইয়াবা আত্মসমর্পণ করেন।

শনিবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফের পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় খেলার মাঠে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে ফিরে আসা উপলক্ষে আয়োজিত আত্মসমর্পণ করেন তারা।

যেসব শর্তে ইয়াবা ব্যবসায়ীদের আত্মসমর্পণ করেছে সেসব শর্তগুলি হচ্ছে:

১. আত্মসমর্পনকৃত চোরাকারবারীরা এই ঘৃন্য পেশা ত্যাগ করে সমাজে সুন্দর ও পরিচ্ছন্নভাবে বসবাসের লক্ষ্যে মাদক ব্যবসায়ীগন ভবিষ্যতে মাদক সংক্রান্ত কোন অপরাধে জড়িত হবে না

২. সমাজে ফিরে গিয়ে তাদের স্ব স্ব এলাকা মাদকমুক্ত রাখার লক্ষ্যে বিশেষ ভুমিকা পালন করবে

৩. যে সকল লোক মাদক ব্যবসায়ে এখনো সক্রিয় রয়েছে তাদের তথ্য কক্সবাজার জেলা পুলিশকে সরবরাহ করবে

৪. আত্মসমর্পনের পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে যে সকল মামলা রুজু হয়েছে বা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে এসকল মামলাগুলি তারা নিজ দায়িত্বে আইনগতভাবে মোকাবেলা করবে

৫. আত্মসমর্পনকৃত মাদক ব্যবসায়ীদের হেফাজতে যে সকল মাদকদ্রব্য/ অবৈধ অস্ত্র রয়েছে তারা তা আত্মসমর্পনের সময় জেলা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করবে

৬. আত্মসমর্পন প্রক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে যে সকল মামলা রুজু হবে সরকারি অনুমতি সাপেক্ষে তাদেরকে আইনগত সুবিধা প্রদানের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে

৭. মাদক ব্যবসার মাধ্যমে নিজে, পরিবারের, আত্মীয়-স্বজনের নামে ও বেনামে অর্জিত সকল স্থাবর/অস্থাবর সম্পত্তি যাচাই এর জন্য দুদক/সিআইডি/(মানি লন্ডারিং শাখা)/এনবিআরসহ সংশ্লিষ্ট সরকারী সকল সংস্থার নিকট তাদের তথ্যাদি প্রেরন করা হবে।

আত্মসমর্পন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্টমন্ত্রী বলেন, মাদকের ব্যাপারে কাউকে ছাড় নয়। আগে দেশ বাচাতে হবে। সীমান্ত দিয়ে কোনো প্রকার মাদক ও অবৈধ নাগরিক যাতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। এ জন্য সবচেয়ে বিজিবিকেই দায়িত্বপালন করতে হবে।