আমলকীতে আছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, সাইট্রিক অ্যাসিড, অ্যামিনো অ্যাসিড, তানিন পলিফেনোলিক কমপাউন্ডস ইত্যাদি। আমলকীই একমাত্র ভিটামিন সির উৎস, যাতে রান্না করার পরও কিছু ভিটামিন সি থাকে। আমলকীর বৈজ্ঞানিক নাম emblica officinalis। খাদ্যগুণ তো আমলকীর আছেই, পাশাপাশি ত্বক ও চুলের যত্নে আমলকীর ব্যবহার যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। আমলকীতে চুল ভালো থাকে, ত্বকও হয় উজ্জ্বল।

ত্বকের জন্য

● আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সাইড থাকায় ত্বকের প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। আমলকীর রস ও মধু একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি হয়।

● নিয়মিত আমলকীর রস পান করলে ত্বকের বলিরেখা এবং কালো দাগ দূর হয়।

● নিয়মিত আমলকীর রস তুলা দিয়ে সমস্ত মুখে অথবা পিগমেনটেশন স্থানে লাগালে পিগমেনটেশন ও কালো দাগ দুটোই হালকা হয়ে যাবে।

● নিয়মিত আমলকী সেবনে ত্বকের ক্ষতিগ্রস্ত টিস্যুগুলো ঠিক হবে।

● ব্রণের জায়গায় আমলকীর রস ১০-১৫ মিনিট রেখে দিলে ব্রণ ভালো হয়ে যায়।

● আমলকীর রস ত্বককে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।

● ত্বকের জ্বালাপোড়া এবং ত্বকের র​্যাশ বা লাল ভাব দূর করতে আমলকীর রস অনেক সাহায্য করে।

● আমলকীতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকার কারণে ত্বককে সুস্থ রাখে।

চুলের ক্ষেত্রে

● আমলকী ও লেবুর রস চুলের গোড়ায় দিয়ে ২০-৩০ মিনিট রেখে দিন। হালকা গরম পানি দিয়ে চুল পরিষ্কার করলে চুলের গোড়া শক্ত হয়।

● নিয়মিত আমলকীর রস পান করলে চুল পাকা রোধ হয়। কারণ আমলকীতে থাকা ভিটামিন সি ও অ্যান্টি–অক্সাইড বয়সের আগে চুল পাকা রোধ করবে।

● আমলকীর রস দিয়ে চুল ধুলে চুলের পাকা ভাব কমে যায়।

● নিয়মিত আমলকীর রস (সপ্তাহে ২-৩ দিন) ব্যবহার করলে চুল পড়া কমে যায়।

● চুলের গোড়া শক্ত হয়।

● চুল দেখতে মসৃণ মনে হয়।

● চুলের খুশকি দূর করে। আমলকীর রস মাথার ত্বক পরিষ্কারে সাহায্য করে।