শিশু নির্যাতনের কথা বলতে গেলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে গৃহকর্ত্রী থেকে শুরু করে নানাভাবে শিশুদের ওপর নির্যাতনের করুণ দৃশ্য। শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে যাওয়া, কালসেটে দাগ. দগদগে ঘা, গৃহকর্মী শিশুদের ওপর এদের অত্যাচার অনেক সময় এমন পর্যায়ে পৌঁঁছে যে, শিশুটির মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এই গৃহপরিচারিকা শিশুরা কন্যা হলে অনেক সময় গৃহকর্তার দ্বারা যৌন নিপীড়নেরও শিকার হয়। শহর-বন্দর, বাসা, হোটেল-রেস্তোরাঁ, কল-কারখানা, গাড়ির গ্যারেজ, ইটভাটা- সর্বত্র শিশু শ্রমিকদের একটা লক্ষণীয় উপস্থিতি দেখতে পাই। এদের অধিকাংশই ঝুঁকিপূর্ণ কাজে লিপ্ত। অথচ এদের বেশিরভাগ ন্যায্য মজুরি থেকে বঞ্চিত হয়। এমনকি কাজে সামান্যতম অবহেলা বা ভুল-ত্রুটির কারণে এই শিশুরা মালিকদের দ্বারা শারীরিক নির্যাতনেরও শিকার হয়ে থাকে। এসব শিশু নির্যাতনের যে ভয়াবহতা তা যে কোনো সভ্য-শিক্ষিত সমাজের জন্য কলঙ্কস্বরূপ। শিক্ষা-সংস্কৃতির দিক থেকে আমরা যতদূরই অগ্রসর হই না কেন, সব অগ্রযাত্রা ম্লান হয়ে যায় এসব নির্যাতনের দৃশ্যপটের সামনে। সরকারের কাছে অনুরোধ, দেশে প্রচলিত শিশু নির্যাতনবিরোধী আইনের যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা হোক, বন্ধ হোক বাংলাদেশে শিশু নির্যাতনের মতো ঘটনা।

রেহানা পুতুল, জিগাতলা, ঢাকা