বাংলাদেশে মুক্তি পাওয়ার আগে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে ‘বিসর্জন’-এর পাইরেসি কপি। তবে এতে বিচলিত নন অভিনেত্রী জয়া আহসান। দর্শকের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছেন তিনি। তার বিশ্বাস, ভালো ছবি দর্শক হলে টিকেট কেটেই দেখতে যাবেন, ঘরে বসে পাইরেট কপি দেখবেন না!

বাংলা ছবির দর্শকের এই সততা কি আছে? অন্তত জয়া এই প্রশ্নবিদ্ধ প্রশ্নের উত্তরে যাচ্ছেন না। দর্শকের সততার প্রতি ভরসা রেখেই জয়া বললেন, ‘বিসর্জন’ বড় পর্দার জন্য উপযোগি করে নির্মাণ করা হয়েছে। এই ছবি যেমন ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছে, তেমনি এই ছবির জন্য আমি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড, জি-সিনে অ্যাওয়ার্ড সহ আরো অনেকগুলো অ্যাওয়ার্ড পেয়েছি। আশা করছি বাংলাদেশের দর্শক ছবিটি হলে গিয়ে দেখবেন। এই ভরসাটুকু আমার দর্শকদের প্রতি আছে।

শুক্রবার থেকে দেশের ৬টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে কৌশিক গাঙ্গুলীর ‘বিসর্জন’। ঢাকায় বসুন্ধরা সিনেপ্লেক্স, যমুনা ব্লকবাস্টার, মধুমিতা ও বলাকা সিনেমা ছাড়াও চট্টগ্রামে আলমাস ও মিনিপ্লেক্সে চলছে ছবিটি। এতে মূখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন জয়া আহসান, আরিব চ্যাটার্জী ও কৌশিক গাঙ্গুলী।

এদিকে কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ‘বিসর্জন’-এর সিক্যুয়াল ‘বিজয়া’। বহুল প্রতীক্ষিত এই ছবিটিও চলতি মাসের শেষ দিকে বাংলাদেশে মুক্তির পরিকল্পনা চলছে বলে জানিয়েছেন জয়া।

অভিনেত্রী জয়ার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে সফল বছর বলা যায় ২০১৮ সালকে। নিজের অভিনীত একাধিক ছবি নিয়ে ভারত-বাংলাদেশে সমান আলোচিত ছিলেন তিনি। শুধু তাই নয়, নিজের প্রথম প্রযোজনার ছবি দিয়েও মাতিয়েছেন পুরো গেল বছরটি। বছর ঘুরে নতুন বছর এলেও সেই সাফল্যের সেই ধারা যেন অব্যাহত রেখেছেন জয়া।

নতুন বছরের শুরুতেই চমক দেখালেন ‘দেবী’ খ্যাত তারকা অভিনেত্রী জয়া আহসান। একসঙ্গে ভারত ও বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে তার দুটি ছবি। শুক্রবার ভারতে মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ছবি ‘বিজয়া’ এবং বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহি মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রশংসিত ছবি ‘বিসর্জন’।

দুটিই কলকাতার প্রখ্যাত পরিচালক কৌশিক গাঙ্গুলীর ছবি। এরমধ্যে ‘বিসর্জন’ ছবিটি কলকাতায় মুক্তি পেয়েছে ২০১৭ সালে। গেল বছর এই ছবিটি বিভিন্ন বিভাগে ভারতের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও অর্জন করে। সব শ্রেণির দর্শকের কাছে প্রশংসা পাওয়ায় ছবিটি বাংলাদেশে আমদানি চুক্তিতে মুক্তি দেয়া হয় শুক্রবার (৪ জানুয়ারি)।