আকস্মিকভাবে ধেয়ে আসা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ৫০ জনের বেশী আহত হয়েছেন ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ঘড়-বাড়ি ও ফসলের।।
শেরপুর জেলার ঝিনাগাতি উপজেলার উপর দিয়ে শুক্রবার দুপুরে প্রচণ্ড বেগে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ফসল, শাক-সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ে বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পরে ও গাছের ডাল ভেঙ্গে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে টিনের বাড়ি-ঘরসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।শুক্রবার জুমার নামাযের সময় আকস্মিকভাবে উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ধেয়ে আসা ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে এই ক্ষয়ক্ষতি হয়।শিলাবৃষ্টিতে উপজেলার বোনারপাড়া, পদুমশহর, জুমারবাড়ি, হলদিয়া, কামালেরপাড়া, ঘুড়িদহ, সাঘাটা, ভরতখালী, মুক্তিনগর, কচুয়া ইউনিয়নের সহস্রাধিক বাড়ি-ঘরের টিনের চাল ছিদ্র হয়ে গেছে। এছাড়াও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে উঠতি বোরো ধান, পাট, ভূট্টা, আমের গুটি, মরিচ, বেগুন, শাক-সবজিসহ বিভিন্ন জাতের ফসলের।স্থানীরা জানান, বৃষ্টির সঙ্গে পড়া শিলগুলোর একেকটির ওজন প্রায় ৩শ গ্রাম। স্থানীয়রা জানান গত ৫০ বছরেও এত বড় আকারের শিল পড়তে দেখনি কেউ।
নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলায় ৫টি ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে প্রায় ১০ হাজার টিনের ঘর ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে নয়টা হতে ১০টা পর্যন্ত আধা ঘণ্টার শিলাবৃষ্টিসহ ঝড়ে আম, লিচু, মরিচ, তামাক, ভুট্টাসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শিলার আঘাতে প্রায় ৫০জন আহত হয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছে।
ভোগাডাবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান একরামুল হক জানান, ঝড়সহ শিলাবৃষ্টিতে আমার ইউনিয়নের প্রায় প্রতিটি বাড়িই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শিলার আঘাতে প্রায় ৫ হাজার টিনের চাল ফুটো হয়ে গেছে।