একের পর এক বয়কটের মুখে পড়ছে চীনভিত্তিক বিশ্বের বৃহৎ টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম নির্মাতা হুয়াওয়ে টেকনোলজিস কোম্পানি ও জেডটিই করপোরেশন। এবার সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠান দুটির পণ্য সরকারিভাবে না কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। গতকাল সোমবার দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও সাইবার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির সরকার। খবর ব্যাংকক পোস্ট।

দেশটির পক্ষ থেকে ঘোষণাটি এমন একসময় দেয়া হলো, যখন জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকির অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে জাপানের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্রসহ বেশ কয়েকটি দেশ প্রতিষ্ঠান দুটির পণ্য ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। একই সঙ্গে তারা অন্য দেশকেও এ নীতি গ্রহণের জন্য উদ্বুদ্ধ করছে। তাদের অভিযোগ প্রতিষ্ঠান দুটির সঙ্গে চীনের গোয়েন্দাদের সম্পৃক্ততা রয়েছে।

খবরে বলা হয়েছে, সরকারিভাবে চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে নেটওয়ার্ক সরঞ্জাম ক্রয় না করার সিদ্ধান্তে জাপানের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ও সরকারের মন্ত্রণালয় ঐকমত্যে পৌঁছালেও তারা প্রতিষ্ঠান দুটির নাম প্রকাশ করেনি। নাম প্রকাশ করলে তা চীন ও জাপানের সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে ভেবেই তা করা হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এর আগে জাপানের মিত্র দেশ যুক্তরাষ্ট্র প্রথম এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। পরে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড পরবর্তী প্রজন্মের মোবাইল নেটওয়ার্কের জন্যও প্রতিষ্ঠান দুটির পণ্য ক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা দেয়। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র তাদের মিত্র দেশগুলোকে এ সিদ্ধান্ত মানার জন্য উদ্বুদ্ধ করছে।

এদিকে হুয়াওয়ের প্রতিষ্ঠাতার কন্যা ও প্রতিষ্ঠানটির প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা (সিএফও) মেং ওয়াংঝুকে ১ ডিসেম্বর কানাডার ভ্যাংকুভার বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মেং ওয়াংঝুর বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইরানে টেলিকম সরঞ্জাম সরবরাহের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে কানাডার গণমাধ্যম। অন্যদিকে তিনি কোনো ধরনের আইন লঙ্ঘন করেননি বলে চীন তার মুক্তি দাবি করেছে। একই সঙ্গে এর ব্যত্যয় হলে কানাডাকে চরম পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও দেশটি হুমকি দিয়েছে।

এর আগে গত এপ্রিলে নিষেধাজ্ঞা মেনে ইরান ও উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ব্যবসা করার অভিযোগে জেডটিইর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।