রেফারির মুখে তখন বাঁশি ধরা। ফু দিলেই বেজে উঠবে। শেষ হবে প্রিমিয়ার লিগে চেলসি-ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচের প্রথমার্ধ। এই প্রায় ৪৫ মিনিটে গোলে কোন শট নিতে পারেনি স্বাগতিক চেলসি। স্টামফোর্ড ব্রিজে ৭০ ভাগের কাছাকাছি বল পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যদের পায়ে। ঠিক তখনই হ্যাজাডের বল ধরে ফ্রান্স মিডফিল্ডার এনগোলে কান্তের গোল। প্রথমার্ধের প্রথম শটেই মাত চেলসির।

শেষতক চেলসি নিজেদের পায়ে বেশি বল রাখতে পারেনি। পেপের টিকিতাকার সঙ্গে পেরে ওঠা কি সহজ কথা। তবে ম্যাচে সিটির থেকে বেশি গোলে আক্রমণ করেছে হ্যাজাডরা। পরে গোলও পেয়েছে আরও একটি। আর সিটি পূরণ করতে পারেনি দলের অন্যতম সেরা তারকা আগুয়েরোর ঘাটতি। রাহিম স্টালিংকে দিয়ে চেষ্টা চালিয়েছে সিটি। কিন্তু ব্যর্থ গার্দিওয়ালার কৌশল।

সেই ব্যর্থ কৌশলের সুযোগ নিয়েছে চেলসি। ঘরের মাঠ ছেড়ে চেলসিতে আসার আগে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে ছিল সিটি। মাঠে নামার আগেই তারা জেনে গেছে লিভারপুলের কাছে শীর্ষস্থান হারিয়েছে তারা। চেলসিকে হারিয়ে আবার শীর্ষে ওঠার সুযোগ ছিল সিটির সামনে। এমনকি সমতা করে একটি পয়েন্ট পেলেও জায়গা ফিরে পেতো পেপের দল। কিন্তু হেরে লিগে দ্বিতীয় স্থানেই থাকতে হলো।

সিটিকে স্বাদ নিতে হলো মৌসুমের প্রথম হারের। চলতি মৌসুমে এর আগে ম্যানসিটি ১৫ ম্যাচ খেলেছে। হারের স্বাদ পায়নি একটাও। ছিল দুই সমতা। শীর্ষে উঠে যাওয়া লিভারপুলেরও নেই কোন হার। তবে গোল ব্যবধানে এগিয়ে সিটি। লিভারপুলের ৪২ পয়েন্টের বিপরীতে সিটি পিছিয়ে কেবল এক পয়েন্টে। তিনে থাকা চেলসি আবার লিভারপুলের চেয়ে পিছিয়ে আট পয়েন্ট। চার ও পাঁচে থাকা দল আরও দুরে। শীর্ষে থাকার ইঁদুর দৌড়টা তাই এখন সিটি-অল রেডদের।

ম্যাচে অবশ্য সিটি সমতায় ফেরার বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। কিন্তু তারা তা কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের শেষ সময়েও ব্রাজিল স্ট্রাইকার জেসুস পেয়েছেন গোল ব্যবধান কমানোর সুযোগ। কিন্তু গোল করতে পারেননি তিনি। তার আগে ম্যাচের ৭৮ মিনিটে হ্যাজাডের দ্বিতীয় সহায়তায় গোল করেন ডেভিড লুইস। তার গোলে ২-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মৌরিসিও সারির দল।