অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ নভেম্বর ২১, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 1491 বার
পল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের উপর আক্রমন ও গাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা পূর্ব বিভাগ। গত ১৯ নভেম্বর’১৮ তারিখ ১৭:৩০ টায় সূত্রাপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- ১১নং ওয়ার্ড ছাত্রদল সভাপতি প্রার্থী ও মির্জা আব্বাসের অনুসারী মোঃ এইচ কে হোসেন আলী, শাহজাহানপুর থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ভূইয়া, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মোঃ আব্বাস আলী, ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক মোঃ আশরাফুল ইসলাম রবিন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক জাকির হোসেন উজ্জ্বল ও মাহাবুবুল আলম, সহ-সভাপতি, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদল।
গতকাল মঙ্গলবার মহানগর পুলিশের মিডিয়া (ডিএমপি) সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, নয়াপল্টনে পুলিশের ওপর হামলা পূর্বপরিকল্পিত। রাজনৈতিক ফায়দা লাভের জন্য পুলিশের ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি বলেন, গোয়েন্দা তথ্য এবং গ্রেফতারকৃত ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী আমরা জানতে পেরেছি, তারা (বিএনপি) পরিকল্পিতভাবে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে। এজন্য তারা লাঠি মজুত করে রেখেছিল।
মনিরুল ইসলাম বলেন, ১৪ নভেম্বর নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের সামনে পুলিশের ওপর অতর্কিতে হামলা চালানো হয়। আমরা বিভিন্ন গণমাধ্যমের তোলা স্থিরচিত্র, ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। তা থেকে আমরা হামলাকারীদের শনাক্ত করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, বড় নেতারা হেলমেট পরে হামলা চালানোর নির্দেশ দিয়েছিল, যাতে শনাক্ত করা না যায়। তারা আগে থেকেই ওই এলাকায় লাঠি মজুত করে রেখেছিল।
তফসিলের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের গ্রেফতার ও হয়রানি করছে পুলিশ। বিএনপির এমন অভিযোগের বিষয় অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, যেখানে ফৌজদারি অপরাধ হবে সেখানেই পুলিশ তার ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে। ফৌজদারি অপরাধীদের ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই। নয়াপল্টনে হেলমেট পরা হামলাকারীরা গ্রেফতার হয়, কিন্তু নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট সায়েন্সল্যাবে সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীরা কেন গ্রেফতার হয় না- এর জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনার তদন্ত চলছে। মোহাম্মদপুরে রাজনৈতিক সহিংসতায় দুই তরুণ নিহত হওয়ার ঘটনা তদন্তের অগ্রগতির বিষয় তিনি বলেন, ওই ঘটনায় মামলা হয়েছে, পুলিশ তদন্ত করছে। একজন গ্রেফতার হয়েছিল, আদালত তাকে জামিন দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, নয়াপল্টনে হামলা-আগুনের ঘটনায় তিন মামলায় মোট আসামি ৪৮৮ জন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেত্রী নিপুণ রায়সহ ৪৫ জনকে আগেই এসব মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়।
Leave a Reply