অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ নভেম্বর ৯, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 467 বার
রাজধানীতে নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার-আল-ইসলাম এর ৮ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
গ্রেফতারকৃতরা হল- মোঃ সাফ ওয়ানুর রহমান (৩৪), সুলতান মাহমুদ (২৫), মোঃ নজরুল ইসলাম (৩৮), মোঃ আবু তাহের (৩৬), মোঃ ইলিয়াস মৃধা (৩০), মোঃ আশরাফুল আলম (২৪), হাসনাইন (৩০) ও মোঃ কামরুল (২৮)। গ্রেফতারের সময় তাদের হেফাজত হতে নগদ ১৪ লক্ষাধিক টাকা, ১টি ল্যাপটপ, ০৮টি সিপিইউ, ০৮টি বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই ও ১০টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
০৭ নভেম্বর, ২০১৮ (বুধবার) দিবাগত রাতে পল্লবী থানাধীন মিরপুর ডিওএইচএস-এ অবস্থিত ৯ নং রোডের ৬৪৪ নং বাড়ির ৫ম তলায় Small Kindness Bangladesh (SKB) নামক এনজিও অফিসে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) বিভাগ।
সিটি সূত্রে জানা যায়, Small Kindness Bangladesh (SKB) নামক এনজিও অফিসের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন আনসার-আল-ইসলামের মতাদর্শের অনুসারীদের দ্বারা পরিচালিত হচ্ছিল। দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে এনজিও ভিত্তিক হিউম্যানিটারিয়ান ওয়ার্কের ছদ্মাবরনে উক্ত এনজিওর সদস্যরা জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও রোহিঙ্গা শরনার্থীদের মাঝে উগ্রবাদের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। গত আগস্ট মাসে এনজিও ব্যুরো কর্তৃক জঙ্গিবাদে অর্থায়ন ও রাষ্ট্রবিরোধী কার্যপরিচালনার অপরাধে রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবিরে এই এনজিওটির কর্মকান্ড নিষিদ্ধ করা হয়। এ এনজিওটি পাকিস্তান, তুরস্ক, ফিলিপাইন, কানাডা, সৌদি আরব ও ইন্দোনেশিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন ইসলাম ভিত্তিক সংস্থা থেকে অনুদান সংগ্রহ করে থাকে। এছাড়াও দেশে ও বিদেশে হিসাব বহির্ভূতভাবে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে অনুদানের নামে অর্থ সংগ্রহ করে।
সিটি সূত্রে আরও জানা যায়, পাকিস্তান ভিত্তিক সংগঠন আল খিদমত ফাউন্ডেশন উক্ত এনজিও SKB এর মাধ্যমে রোহিঙ্গা শিবিরে নির্বিঘ্নে জঙ্গিবাদী কর্মকান্ড চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, আল খিদমত ফাউন্ডেশন জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদা ও লস্কর-ই-তইয়েবার সাথে সংশ্লিষ্টতা আছে। গ্রেফতারকৃতরা ও উক্ত এনজিওটি নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী সংগঠনের সমর্থন পুষ্ট। তারা (SKB) এনজিও কার্যক্রমের আড়ালে রোহিঙ্গাদের মাঝে বিভিন্ন কৌশলে সরকার বিরোধী প্রচারণা, দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন ও রোহিঙ্গাদের প্ররোচিত করে তারা দেশের অভ্যন্তরে সক্রিয় আনসার-আল-ইসলামের বিভিন্ন কর্মকান্ডে অর্থায়ন করে। এছাড়াও, তারা রোহিঙ্গা শরনার্থী শিবির হতে তাদের সংগঠনের জন্য সদস্য সংগ্রহের কাজ করত। সদস্য সংগ্রহ করে নাশকতামূলক কাজের মাধ্যমে সরকারকে অকার্যকর করা ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার পরিকল্পনা ছিল তাদের।সূত্র- ডিএমপি নিউজ
Leave a Reply