‘পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জিতে দেশবাসীকে গর্বিত করার জন্য আমরা সবকিছু করব। যেকোনো কিছুর বিনিময়ে হোক আমরা চ্যাম্পিয়ন হতে চাই।’ কথাটা সেমিতে ভারতকে হারানো ম্যাচের নায়ক মেহেদী হাসানের।

ম্যাচের আগেরদিন যেকোনো কিছুর বিনিময়েই সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ চ্যাম্পিয়নশিপ ঘরে তোলার দৃঢ় প্রত্যয় ছিল বাংলাদেশের গোলরক্ষকের। কথাটা রেখেছেন মেহেদী। পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে তিন পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে আবারও লাল-সবুজদের নায়ক এ গোলরক্ষকই।

সেমিতে নায়ক, তবুও শনিবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ফাইনালে মূল একাদশে ছিলেন না মেহেদী। এ ম্যাচে গোলবারের নীচে ফেরেন নিয়মিত গোলরক্ষক মিতুল মারমা। যার লাল কার্ডের জেরে সেমিতে খেলার সুযোগ হয়েছিল মেহেদীর। সেই ম্যাচ নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে অমীমাংসিত থাকায় টাইব্রেকারে গড়িয়েছিল, বাংলাদেশ-পাকিস্তান ফাইনালও একই ব্যবধানে অমীমাংসিত ছিল।
টাইব্রেকারে ম্যাচ গড়ানো যখন অবধারিত, সেটা দেখেই নির্ধারিত সময়ের শেষ মিনিটে ‘তুরুপের তাস’ মেহেদীকে মাঠে নামান বাংলাদেশ কোচ আনোয়ার পারভেজ। ভারতের বিপক্ষে দুই পেনাল্টি শট ফিরিয়ে আস্থার অবস্থানটা নিজেই তৈরি করেছেন মেহেদী।

পরে পেনাল্টি শট ঠেকিয়েই আস্থার প্রতিদান দিয়েছেন। গোলবারে যে পাঁচ শট নিয়েছে পাকিস্তানিরা, প্রতিবারই লাইনে ঝাঁপিয়েছেন এ গোলরক্ষক। ঠাণ্ডা মাথায় লাফিয়েছেন। ঠেকিয়ে দেন তিনটি শট। প্রথমে বাংলাদেশের রাজন হাওলাদারের ও মাঝখানে রবিউল আলমের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও গোলরক্ষকের কল্যাণে শিরোপার পথে বাঁধা আসেনি লাল-সবুজদের।

গ্রুপপর্বে মালদ্বীপকে ৯-০ ও স্বাগতিক নেপালকে ২-১ গোলে হারিয়ে শেষচারে পৌঁছেছিল বাংলাদেশ। সেখানে ভারতকে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছায় লাল-সবুজরা। মেহেদীর কল্যাণে ফাইনালে থামাটা হল শিরোপা উঁচিয়ে ধরেই।

পরে মেহেদী সহ পুরো দল পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দন বার্তা।