জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ২৩, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 651 বার
ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের ‘আমদানি ওয়ার্ড’ নামে পরিচিত সাধারন ওয়ার্ডের মেঝেতে অন্য বন্দিদের সঙ্গে রাখা হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে।
আদালতের কোনো নির্দেশনা না থাকায় ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে আরও ৪০ জন সাধারণ বন্দির মতো রাখা হয়েছে। সেখানে কোনো খাট কিংবা চেয়ারের ব্যবস্থা নেই।
এ বিষয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুব আলম জানান, আদালতের কোনো নির্দেশনা না থাকায় তাকে আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।
এছাড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে আরেক কারা কর্মকর্তা বলেন, আদালত থেকে যেসব বন্দি প্রথম আসে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের ‘আমদানি ওয়ার্ডে’ রাখা হয়। আসামির ধরণ অনুযায়ী পরে এই ওয়ার্ড থেকে তাদের অন্য ওয়ার্ডে স্থানান্তর করা হয়।
তিনি বলেন, মইনুল হোসেন আজই আদালত থেকে কারাগারে গেলেন। আর এজন্য তাকে প্রথমে এই আমদানি ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। আদালতের অন্য কোনো নির্দেশনা না থাকলে বা ভিন্ন কোনো পরিস্থিতি না হলে তাকে সাধারণ বন্দিদের সাথে মেঝেতেই থাকতে হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে রংপুরের মামলায় ব্যারিস্টার মইনুলকে ঢাকার আদালতে নেওয়া হয়। তার পক্ষে জামিনের আবেদন নাকচ করে আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে সোমবার রাত ৯টা ২৫ মিনিটে ডিবি পুলিশের একটি দল রাজধানীর উত্তরায় জেএসডি নেতা আ স ম আবদুর রবের বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।
আটকের পরপরই ব্যারিস্টার মইনুলকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নেয়া হয়। তাকে সেখানে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ১৬ অক্টোবর রাতে একাত্তর জার্নালে টকশোতে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির নির্বাহী সম্পাদক মাসুদা ভাট্টিকে কটূক্তির ঘটনায় গত রোববার প্রথম মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে জামালপুরের আদালতে মানহানির মামলা হয়।
মামলাটি করেন যুব মহিলা লীগের জামালপুর শাখার আহ্বায়ক ফারজানা ইয়াসমীন লিটা। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন।
একই দিন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূরের আদালতে তার বিরুদ্ধে আরও একটি মানহানির মামলা করেন মাসুদা ভাট্টি।
এ মামলাটিতেও ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।
এ ছাড়া ব্যারিস্টার মইনুলের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, ভোলা ও কুড়িগ্রামে মামলা হয়েছে।
Leave a Reply