পারটেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেমকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ।

রোববার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সাড়ে ১০টা বিকাল সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত অনুসন্ধান কর্মকর্তা ও সংস্থাটির উপপরিচালক মোশারফ হোসেইন মৃধা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।

এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা থাকলেও অসুস্থ্যতাজনিত কারণে হাজির না হয়ে এক মাসের সময় চেয়ে আবেদন করেন হাশেম। দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য এ তথ্য জানিয়েছেন।

জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বেরিয়ে যাওয়ার সময় সাংবাদিকদের সঙ্গে পারটেক্স চেয়ারম্যান কোনো কথা বলতে চাননি। দুদকের মূল গেট এড়িয়ে অন্য গেট দিয়ে বের হতে চান তিনি। এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এম এ হাসেম বলেন, আমি জানি না, কেন আমাকে ডাকা হয়েছে।

সূত্র জানায়, এম এ হাসেমের বিরুদ্ধে রাজস্ব ফাঁকি, বৈধ ব্যবসার আড়ালে অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা ও সরকারের বিপুল পরিমাণ সরকারি সম্পত্তি দখলসহ শত শত কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া পারটেক্স গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে স্বল্প মূল্যে পণ্য আমদানি করে মূল্য বেশি দেখিয়ে শত শত কোটি টাকা বিদেশে পাচার করেছেন। এছাড়াও নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ৫০০ একর সরকারি সম্পত্তি দখল করে শত শত কোটি টাকার মালিক হয়েছেন।

এর আগে ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে পারটেক্স গ্রæপের চেয়ারম্যান এম এ হাসেম ও তার দুই ছেলেকে সোনালী ব্যাংক থেকে এলসির বিপরীতে চিনি আমদানির নামে ১৫০ কোটির টাকার বেশি আর্থিক ক্ষতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল দুদক।