ভারতে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের ঘটনায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় পিছিয়েছে। আজ সোমবার রায় ঘোষণার তারিখ থাকলেও তা পিছিয়ে গেছে।

রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৯ নভেম্বর। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ের একটি আদালতে রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল।

এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো এ মামলার রায় ঘোষণার তারিখ পেছাল।

উল্লেখ্য, ঢাকা থেকে নিখোঁজের দুই মাস পর ২০১৫ সালের ১১ মে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের রাজধানী শিলংয়ে খোঁজ মেলে সালাহউদ্দিনের। এরপর হাসপাতাল থেকে পুলিশ হেফাজতে নেয়ার পর ওই বছরের ২৭ মে আদালতে তোলা হয় সালাহউদ্দিনকে। সালাহউদ্দিন আদালতে বলেন, ২০১৫ সালে মার্চে তাকে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে অপহরণ করা হয়। এর প্রায় দুই মাস পর কে বা কারা তাকে শিলংয়ে ফেলে যায়।

পরে আদালতের নির্দেশে তাকে ১৪ দিন বিচারিক হেফাজতে রাখা হয়। এরপর ৫ জুন শিলংয়ের আদালত থেকে শর্তসাপেক্ষে জামিন পান সালাহউদ্দিন আহমেদ। জামিন পাওয়ার পর থেকে শিলংয়ে অবস্থান করছেন তিনি।

শিলং পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পি লামারাই সালাহউদ্দিনের বিরুদ্ধে শুধু অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে চার্জশিট দেন। ৩ জুন পুলিশের পক্ষ থেকে মেঘালয় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে এ চার্জশিট জমা দেয়া হয়। চার্জশিটে সালাহউদ্দিন উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ও দেশে বিভিন্ন মামলার বিচার এড়াতেই বৈধ ডকুমেন্ট ছাড়া ভারতে অনুপ্রবেশ করেছেন বলে উল্লেখ করা হয়।

সালাহউদ্দিন আহমেদ ১৯৯১ সালে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার এপিএস ছিলেন। এরপর প্রশাসনের চাকরি ছেড়ে তিনি রাজনীতিতে আসেন। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। বিএনপি ক্ষমতায় এলে তিনি যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী হন। ভারতে যখন তিনি আটক হন তখন তিনি বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ছিলেন। ভারতে আটক অবস্থায় বিএনপির ষষ্ঠ কাউন্সিলে তিনি দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের সদস্য মনোনীত হন।