জাতীয় স্বদেশ | তারিখঃ অক্টোবর ১৫, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 447 বার

বিতর্কিত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কয়েকটি ধারা সংশোধনের দাবিতে মানববন্ধন করছেন জাতীয় দৈনিক পত্রিকাগুলোর সম্পাদকদের সংগঠন সম্পাদক পরিষদের সদস্যরা।
আজ সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পূর্বঘোষিত এই মানববন্ধন শুরু হয়। শুধু সম্পাদক পরিষদের সদস্যরাই মানববন্ধনে অংশ নিয়েছেন। মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কালের কণ্ঠ সম্পাদক ইমদাদুল হক মিলন, বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান, যুগান্তর এর ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম, ভোরের কাগজ সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।
মানব বন্ধনে সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন স্বাধীন সাংবাদিকতা ও মুক্ত গণমাধ্যমের পরিপন্থী।
তিনি জানান, সম্পাদক পরিষদ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বিরোধী নয়। সম্পাদকরা চান সংসদের আগামী অধিবেশনে আইনটি সংশোধন করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হোক।
সোমবার জাতীয় প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন সংশোধন করার দাবিতে মানববন্ধন করছে সম্পাদক পরিষদ। এসময় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক এসব কথা বলেন।
এর আগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৮, ২১, ২৫, ২৮, ২৯, ৩১, ৩২, ৪৩ এবং ৫৩ ধারা নিয়ে সম্পাদকরা তাদের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন।
এর আগে আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করার পর সম্পাদক পরিষদ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করার ঘোষণা দেয়। কিন্তু তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সেই কর্মসূচি বাতিল করা হয়।
তথ্যমন্ত্রী তখন আইনটি নিয়ে আইনমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগমন্ত্রীর সঙ্গে সম্পাদকদের আলোচনার প্রতিশ্রুতি দেন। তথ্যমন্ত্রীর অনুরোধে সম্পাদক পরিষদ মানববন্ধন কর্মসূচি বাতিল করে এবং ৩০ সেপ্টেম্বর ওই তিন মন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসে।
বৈঠকে তিন মন্ত্রী প্রতিশ্রুতি দেন, মন্ত্রিসভার ৩ বা ১০ অক্টোবরের বৈঠকে তারা সম্পাদকদের উদ্বেগের বিষয়গুলো উত্থাপন করবেন এবং সম্পাদকদের সঙ্গে নতুন করে আলোচনা শুরুর জন্য মন্ত্রিসভার অনুমতি চাইবেন। এছাড়াও মন্ত্রীরা আশ্বাস দেন, এই আইনের এমন একটি সংস্করণ রচনার চেষ্টা করা হবে যা সব মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়।
সম্পাদক পরিষদের অভিযোগ, ‘সেরকম কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। তিন মন্ত্রী কেন তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে পারলেন না, তা আমাদের জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি। আমরা মনে করি এটি সেই প্রতিশ্রুতির বরখেলাপ।’
Leave a Reply