২০১৮ সালে জাতিসংঘের পক্ষ থেকে বিশ্বের সবচেয়ে সুখী দেশের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ফিনল্যান্ড। শুধু সেখানকার মানুষজনের জন্যই নয়। সেদেশে প্রবাসীরাও বেশ আনন্দেই থাকেন। জাতিসংঘের কাছে সেটিও অতিরিক্ত গুরুত্ব পেয়েছে।

কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ব্রিটিশ কলম্বিয়ার প্রফেসর জন হেলিওয়েল জানিয়েছেন, অদ্ভুতভাবে এই দেশে প্রবাসীরা বেশ খুশিতে থাকেন। আর এই বিষয়টিই বোনাস পয়েন্ট যোগ দিয়েছে ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে। অন্য দেশ থেকে অনেকেই ফিনল্যান্ডে আসেন। কিন্তু এই দেশে এসে তারা খুশিতে থাকেন। খুম কম দেশেই এমন দেখা যায়। অ্যাডজাস্ট করতে গিয়ে হারিয়ে যায় খুশি। কিন্তু ফিনল্যান্ডের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে না।

২০১৮ সালের রিপোর্টে অভিবাসীদের সুখ-দুঃখের দিকে আলাদা করে নজর দেওয়া হয়েছে৷ এখানেও ফিনল্যান্ড সবার সেরা, যদিও সেদেশে বিদেশির সংখ্যা সাকুল্যে তিন লাখ৷ দেখা যাচ্ছে, সুখের তালিকায় এমনিতেই যারা টপ টেনে, ঠিক সেই দেশগুলিতেই অভিবাসীরা সবচেয়ে সুখী৷ এক্ষেত্রে জার্মানি ২০১৫-১৬ সালে লক্ষ লক্ষ উদ্বাস্তু-অভিবাসী নিয়ে ও তাদের দেখাশোনা করেও অভিবাসীদের জন্য সুখের দেশের তালিকায় ২৮তম স্থান ছাড়াতে পারেনি৷

উল্লেখ্য, ২০১২ সালে জাতিসংঘ ‘ওয়ার্ল্ড হ্যাপিনেস রিপোর্ট’ তৈরির এই উদ্যোগ নেয়৷ রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয় ‘সাস্টেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশনস নেটওয়ার্ক’ বা এসডিএসএন নামের একটি আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীকে৷ ২০১৮ সালের রিপোর্টটি হলো ষষ্ঠ রিপোর্ট, ২০১৫ থেকে ২০১৭ সাল অবধি সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে প্রস্তুত করা হয়েছে৷ ছ’টি উপাদানের ভিত্তিতে একটি দেশ বা জাতির ‘সুখ’ বিচার করা হয়: কল্যাণ, আয়, স্বাধীনতা, আস্থা, আয়ু, সামাজিক সহায়তা ও বদান্যতা৷