অপরাধ সংবাদ | তারিখঃ আগস্ট ২৩, ২০১৮ | নিউজ টি পড়া হয়েছেঃ 2070 বার
পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এক গৃহবধূর লাশ ফেলে রেখে তার স্বামী পালিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে পুলিশ গৃহবধূ নিশাত ইসলাম নিশির (২০) লাশ ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হতে উদ্ধার করেছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠাবেন বলে পুলিশ জানিয়েছে। নিশাত ইসলাম নিশি উপজেলার বড়ইচারা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নিশিকে তার স্বামী শামীম হোসেন হাসপাতালে নিয়ে আসে। কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশিকে মৃত ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে স্বামী শামীমসহ তার সঙ্গে থাকা তিনজন লাশ ফেলে রেখে দৌড়ে হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায়। এ সময় স্বজনদের কাউকে না পাওয়ায় হাসপাতালেই লাশ পড়ে থাকে এবং পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
জানা যায়, দেড় বছর আগে নিশির সঙ্গে ঈশ্বরদীর জয়নগর হাজিপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলাম সরদারের ছেলে শামীম হোসেনের সঙ্গে নিশির পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতেই উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। এসব নিয়ে মারধরের ঘটনার অভিযোগ করেছেন নিশির মা রোজিনা খাতুন। ঈদের দিন বিকেলে নিশিকে তার বাবার বাড়ি বরইচারা হতে স্বামী শামীম তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। আর শামীমের বাড়িতেই বৃহস্পতিবার নিশির মৃত্যু হয়।
মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী শামীম। নিশির মা রোজিনা খাতুন এমন দাবি করে জানান, শামীম দিনাজপুরে প্রাণ কোম্পানীতে চাকুরী করেন। বিয়ের পর হতে মেয়েকে মারধর করতো। বুধবার (২২ আগস্ট) বিকেলে আমার বাড়ি থেকে শামীম মেয়েকে জোর করে নিয়ে যায়। আজ পরিকল্পিতভাবে নিশিকে মেরে হাসপাতালে লাশ ফেলে পালিয়েছে শামীম।
এ বিষয়ে সলিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ বাবলু বলেন, ঘটনাটি দুঃখজনক। স্ত্রীর মরদেহ হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় শামীম। তবে শামীম কেন স্ত্রী নিশিকে হত্যা করল তার কারণ জানতে পারিনি। পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছি।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, ময়নাতদন্ত না হওয়া পর্যন্ত ঘটনাটি হত্যা না স্বাভাবিক মুত্যু তা নিশ্চিত করে বলা যাবে না।
Leave a Reply