চলতি ২০১৮-১৯ অর্থ বছরের বাজেটে বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় মুক্তিযোদ্ধাদের তিন মাসের সম্মানী ভাতা ও একটি উৎসব ভাতা বাবদ ২৮০ কোটি টাকা ছাড় করা হয়েছে। এ বাজেটের বিশেষ কার্যক্রমের আওতায় প্রথম কিস্তির (জুলাই-সেপ্টেম্বর) অর্থ ছাড় করা হয়েছে বলে জানান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক. ম মোজাম্মেল হক।

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা যাতে পবিত্র ঈদুল আজহার আগে সম্মানী ও উৎসব ভাতা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করতে পারেন তার জন্য জেলা প্রশাসনকে ইতোমধ্যে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বর্তমান সরকার ১ লাখ ৮৪ হাজার ৯৬১ জন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাকে নিয়মিত সম্মানী ও উৎসব ভাতা দিয়ে আসছে এবং তাদের আর্থ সামাজিক মর্যাদা সুরক্ষায় বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।

এছাড়া কক্সবাজার জেলার ২০ জন তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার জন্য সস্মানীও উৎসব ভাতা বাবদ ৮ লাখ টাকা ছাড় করা হয়েছে।

মূলত দেশের সব তালিকাভুক্ত সাধারণ মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের পরিবারের সদস্যরা জনপ্রতি ১০ হাজার টাকা সম্মানী ও ১০ হাজার টাকা উৎসব ভাতা পাচ্ছেন। এছাড়া তালিকাভুক্ত খেতাব প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের নির্ধারিত হারে ভাতা পেয়ে থাকেন।

প্রসঙ্গত, গত ১২ আগস্ট মন্ত্রণালয়ের বাজেট অধিশাখার এক স্মারক পত্রে অর্থ ছাড়করণের নির্দেশনা জারি করে বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা কোন অবস্থানেই নগদে পরিশোধ করা যাবে না। এই ভাতা বিতরণে কোন অনিয়ম হলে সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট ব্যাংক ম্যানেজার দায়ী থাকবেন বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়। বাসস।